Lok Sabha Election 2024

খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন ভোটকর্মীদের

কমিশন সূত্রে জানা যায়, গত ১ এপ্রিল প্রত্যেক জেলাশাসকের কাছে নির্দেশ পাঠিয়ে প্রথম প্রশিক্ষণ থেকেই ভোটকর্মীদের মাথা পিছু দুপুরের খাবারের জন্য ১৭০ টাকা বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:২৬
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

প্রথমার্ধে যাঁরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তাঁরা চা-ঠান্ডা পানীয় পাচ্ছেন। আর দ্বিতীয়ার্ধে যাঁরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তাঁদের সেটুকুও জুটছে না বলে অভিযোগ। আবার বেশ কিছু জেলায় ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নিতে হচ্ছে ভোটকর্মীদের। দুপুরের খাবারে মিলছে চিপস্‌, চিঁড়ে ভাজা, কলা-আপেল, ডিম আর জলের বোতল। এ নিয়ে ভোটকর্মীদের বিশেষ করে শিক্ষকদের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। দুপুরের খাবারের জন্য প্রাপ্য ১৭০ টাকা অ্যাকাউন্টে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। একাধিক জেলা সেই দাবি মেনে দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় প্রশিক্ষণের আগে ভোটকর্মীদের অ্যাকাউন্টে দুপুরের খাবারের টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পূর্ব বর্ধমানও রয়েছে তাতে।

Advertisement

কমিশন সূত্রে জানা যায়, গত ১ এপ্রিল প্রত্যেক জেলাশাসকের কাছে নির্দেশ পাঠিয়ে প্রথম প্রশিক্ষণ থেকেই ভোটকর্মীদের মাথা পিছু দুপুরের খাবারের জন্য ১৭০ টাকা বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। নির্দিষ্ট একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা খরচ করার কথাও বলা হয়। কমিশনের এক আধিকারিক বলেন, “কোন জেলা কী ভাবে খরচ করবে, সে ব্যাপারে কমিশন কোনও নির্দেশ দেয়নি।” মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বীরভূমের মতো অনেক জেলা ভোটকর্মীদের অ্যাকাউন্টে দুপুরের খাবারের টাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবার কলকাতা, উত্তর দিনাজপুর-সহ অনেক জেলায় প্রশিক্ষণের মাঝে দুপুরের খাবার দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পূর্ব বর্ধমানেও একাধিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে খাবার নিয়ে ভোটকর্মীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ভোটকর্মীদের একাংশের অভিযোগ ছিল, যে খাবার দেওয়া হয়েছে, তার সামগ্রিক মূল্য ১৭০ টাকা হতে পারে না।

এবিটিএ-র রাজ্যের নেতা সুদীপ্ত গুপ্ত বলেন, “প্রশাসনই তো কমিশনের নির্দেশিকা মানছে না। এক এক জেলায় ভিন্ন নীতি নিয়ে চলছে। খাবারের গুণগত মান ঠিক থাকছে না। প্রাপ্য টাকার সমতাও থাকছে না। তাই চা, বিস্কুট ও জলের দাম কেটে বাকি টাকা অ্যাকাউন্টে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম।” সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের কোর কমিটির সদস্য রাজীব দত্তেরও দাবি, “প্রাপ্য টাকা অ্যাকাউন্টে দেওয়া হলে ভোটকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি থাকবে না।” তৃণমূল প্রভাবিত মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির এগজ়িকিউটিভ কমিটির সদস্য অমিতকুমার ঘোষ বলেন, “বেশ কিছু জেলা প্রথম প্রশিক্ষণের সময় দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করেছিল। এখন প্রায় সব জেলায় অ্যাকাউন্টে টাকা দেবে বলে জানিয়েছে। কমিশনও একপ্রকার সেই নির্দেশই জেলাগুলিকে দিয়েছে।”

Advertisement

এ বারের লোকসভা নির্বাচনে ভোটকর্মীদের ভাতা বাড়ছে না বলে ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কমিশন। ২০১৯ সালের মতোই প্রিসাইডিং অফিসাররা ৩৫০ টাকা ও পোলিং অফিসাররা ২৫০ টাকা করে ভাতা পাবেন। সে নিয়ে ক্ষোভ ছিলই। তার মধ্যে প্রশিক্ষণের দুপুরের খাবার নির্দিষ্ট টাকার দেওয়া হচ্ছে না বলে অসন্তোষ ছড়িয়েছিল। ক্ষোভের আঁচ পৌঁছলে সপ্তাহ খানেক আগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কমিশন। তারপর থেকেই বিভিন্ন জেলা প্রশিক্ষণের প্রাপ্যের সঙ্গে দুপুরের খাবারের টাকাও ভোটকর্মীদের অ্যাকাউন্টে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন