Lok Sabha Election 2024

লোকসভা-অঙ্কেই কি ৩২৩ কোটির বাজেট

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদ বিরোধীশূন্য। ফলে, ‘বিরোধিতা’র অবকাশ ছিল না! অর্থের সংস্থান নিয়ে সংশয়ের কোনও কারণই নেই, দাবি জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:১৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

২০২৩-’২৪ এর বাজেট ধরা হয়েছিল ২৫২ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকার। ২০২৪-’২৫ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের বাজেট বেড়ে হল ৩২৩ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকার।

Advertisement

আবাস যোজনা-সহ একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বন্ধ বেশ কয়েক মাস ধরে। জেলা পরিষদের নিজস্ব তহবিলের আয়ও ‘প্রত্যাশিত’ নয়। এই পরিস্থিতিতে ওই বিপুল অর্থের সংস্থান নিয়ে সংশয় একাধিক মহলে।অনুমান, সামনে লোকসভা ভোট রয়েছে বলেই বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।

সম্প্রতি জেলা পরিষদের সাধারণ সভায় চূড়ান্ত বাজেট পেশ করা হয়েছে। তা অনুমোদিতও হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদ বিরোধীশূন্য। ফলে, ‘বিরোধিতা’র অবকাশ ছিল না! অর্থের সংস্থান নিয়ে সংশয়ের কোনও কারণই নেই, দাবি জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের। জেলা সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি বলেন, ‘‘জেলার সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থেই এই বাজেট।’’ একই দাবি জেলা পরিষদের তৃণমূল দলনেতা মহম্মদ রফিকের। তাঁর কথায়, ‘‘বাজেটে জেলার সার্বিক উন্নয়নেই জোর দেওয়া হয়েছে।’’ বিজেপি নেত্রী তথা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্যের খোঁচা, ‘‘বাস্তবের সঙ্গে অমিল প্রচুরই। বাজেটে দিশা নেই!’’জেলা পরিষদের বার্ষিক বাজেটে কোন স্থায়ী সমিতি, কত টাকা আগামী এক বছরের জন্য পাবে, তা জানানো হয়েছে। জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, ২০২৪-’২৫ এর জন্য ৩২৩ কোটি ৬৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার বাজেট হয়েছে। কোন খাতে কত বরাদ্দ ধরা হয়েছে? ১০টি স্থায়ী সমিতির মধ্যে অর্থ-পরিকল্পনায় ৩২ কোটি ৮০ লক্ষ ৮০ হাজার, জনস্বাস্থ্যে ১২৬ কোটি ৩৫ লক্ষ ৫০ হাজার, পূর্তে ১৩৪ কোটি ৯২ লক্ষ, কৃষিতে ৫ কোটি ৭৭ লক্ষ, শিক্ষায় ৫ কোটি ৮২ লক্ষ, শিশু- নারীকল্যাণে ৫ কোটি ৭৭ লক্ষ, বনভূমিতে ১ কোটি ২৫ লক্ষ, মৎস্যে ১ কোটি ৩৭ লক্ষ, খাদ্যে ৬ কোটি ৫৫ লক্ষ, ক্ষুদ্রশিল্পে ৯২ লক্ষ। অর্থাৎ, পূর্ত, জনস্বাস্থ্যের মতো ক্ষেত্রকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

২০২২-’২৩ অর্থবর্ষের জন্য ১৫২ কোটি ৬২ লক্ষ ৫ হাজার টাকার বাজেট হয়েছিল। অবশ্য আগে আরও বেশি টাকার বাজেট হত জেলা পরিষদে। তখন রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের এতটা ‘রেষারেষি’ ছিল না। ‘আর্থিক বঞ্চনা’র অভিযোগ ওঠেনি। সংশ্লিষ্ট প্রায় সব খাতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ চালু ছিল। ২০১৬-’১৭ তে বাজেট হয়েছিল ৬৫২ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকার। ২০১৫- ’১৬ তে বাজেট হয়েছিল ৫৭৮ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকার। জেলা পরিষদের একাংশ সদস্যের অনুমান, এখন আর কেন্দ্র থেকে প্রত্যাশিত বরাদ্দ আসে না। ফলে, রাজ্য থেকেও প্রত্যাশিত বরাদ্দ আসে না জেলায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন