Lok Sabha Election 2024

তৃণমূলের হয়ে সংগঠন ‘ভুল’ ছিল: শুভেন্দু

মঙ্গলবারই সংসদে ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন তোলার মামলায় কৃষ্ণনগরের বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন লোকপাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর,  করিমপুর  শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৪ ০৮:৩৭
Share:

শুভেন্দুর হাত থেকে পতাকা নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন অমৃতা রায়। বুধবার কৃষ্ণনগরে। নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূলের দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে নিজের কৃতকর্মের জন্য পশ্চাত্তাপ করলেন একদা রাজ্যের মন্ত্রী, বর্তমানে বিজপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement

বুধবার মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নদিয়ার করিমপুরে সভা করতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, “এক সময়ে আমি করিমপুরের উপর দিয়েই মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি, রানিনগর, ইসলামপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের হয়ে প্রচার করতে এসেছিলাম। এখন বুঝতে পারছি, তখন তৃণমূলের হয়ে সংগঠন করতে আসাটা ভুল হয়েছে।”

মুর্শিদাবাদের বিদায়ী সাংসদ আবু তাহের খানই এ বারও ওই কেন্দ্রে দলের প্রার্থী হয়েছেন। তৃণমূলে থাকাকালীন শুভেন্দু যে দীর্ঘদিন দলের দায়িত্বে ছিলেন তা মনে করিয়ে দিয়ে আবু তাহের বলেন, “এই জেলার সব কিছু তাঁর হাতের তালুর মতো চেনা। জেলায় তিনি কী করেছেন, কী ভাবে তোলাবাজি করেছেন, তা সবার জানা। ভোটের বাজারে এখন বড়-বড় কথা বলেছেন। তিনি পাপ করেছেন, এখন দল বদলে প্রায়শ্চিত্ত করতে চাইছেন। তাঁর পাপের দায় দল নেবে না।”

Advertisement

মঙ্গলবারই সংসদে ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন তোলার মামলায় কৃষ্ণনগরের বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন লোকপাল। এই সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু দাবি করেন, “পাসওয়ার্ড দেশের বাইরে পাচার করেছেন, কুকুর চুরি করেছেন, দামি ভ্যানিটি ব্যাগ উপহার নিয়েছেন। আমি বলছি, উনি ব্যাগ গোছান, যত তাড়াতাড়ি পারেন ব্যাগ গোছান।” যদিও এ দিনই এক্স-হ্যান্ডেলে (পূর্বতন টুইটার) কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে ফের প্রার্থী হওয়া মহুয়া দাবি করেন, “আমাকে হেনস্থা করার লক্ষ্যে এই অযথা তদন্ত আমার জয়ের ব্যবধানই বাড়াবে। বিজেপি আগে আমার বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর প্রার্থী খুঁজুক।”

গত কয়েক দিন ধরেই জল্পনা চলছে, কৃষ্ণনগর রাজপরিবারের বধূ অমৃতা রায়কে এই কেন্দ্রে প্রার্থী করতে পারে বিজেপি। এ দিন শুভেন্দু কৃষ্ণনগরের নগেন্দ্রনগরে নির্বাচনী দফতর উদ্বোধন করার পরে তাঁর হাত থেকে পতাকা নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন অমৃতা। তাঁকে প্রার্থী করা হচ্ছে কি না সেই প্রশ্নের কোনও স্পষ্ট উত্তর অবশ্য শুভেন্দু দেননি। তিনি জানান, প্রার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। রাজ্যের তরফে নাম সুপারিশ করা হয়। একজন শৃঙ্খলাপরায়ণ কর্মী হিসাবে তিনি সেটা সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করবেন না। তবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাবার্তার সময়ে অমৃতা আশা প্রকাশ করেন যে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের মানুষ তাঁকে জয়ী করবেন। পাশ থেকে শুভেন্দু বলেন, “সমঝদারদের জন্য ইশারাই যথেষ্ট।” এ দিন কৃষ্ণনগরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের দু’বারের প্রাক্তন তৃণমূল পুরপ্রতিনিধি অনুপম বিশ্বাস এবং চাপড়া, নাকাশিপাড়ার মতো কিছু জায়গার কয়েকজন সংখ্যালঘু মানুষ বিজেপিতে যোগ দেন।

এ দিন করিমপুরে সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে দলের কর্মীরা শুভেন্দুর কাছে অভিযোগ জানান, সভায় যাতে লোক আসতে না পারে তার জন্য কয়েকটি জায়গায় পুলিশ তৃণমূলের কথায় বাস আটকে দিয়েছে। শুভেন্দু তাঁদের বলেন, “আর কয়েকটা দিন সবুর করেন। দেখবেন, পুলিশ আপনাদের গাড়ি করে নিয়ে জনসভায় আসছে।” তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যানজট আটকাতেই বিভিন্ন জায়গায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন