Lok Sabha Election 2024

তিন দফায় কম ভোটে কপালে ভাঁজ বিজেপির

বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, ১৯৯১-এ যখন নরসিংহ রাও সরকার ক্ষমতায় আসে, তার আগে ১৯৮৯-এ যখন বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহের সরকার ক্ষমতায় এসেছিল, প্রতি বারই ভোটের হার কম ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৪ ০৮:১৮
Share:

—প্রতীকী ছবি।

লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ৩ দফায়ই ভোটের হার কম থাকায় ‘অশনিসঙ্কেত’ দেখছে বিজেপি। বিজেপি শিবিরের আশঙ্কার কারণ, সাম্প্রতিক অতীতে একমাত্র ১৯৯৯ সালের নির্বাচন ছাড়া যত বারই কম ভোট পড়েছে, প্রতি বার সরকার বদল হয়েছে।

Advertisement

এ বারে যে ২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের মতো ‘মোদী হাওয়া’ নেই, তা বিজেপি নেতৃত্ব আগেই টের পেয়েছিলেন। তার উপরে প্রথম ৩ দফায় মোট ২৮৩টি লোকসভা কেন্দ্রেই ভোটের কম হার বিজেপি শিবিরের চিন্তা বাড়িয়েছে। বিজেপি সূত্র বলছে, লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে অর্ধেকের বেশি আসনে ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। এই ২৮৩টি আসনের মধ্যে এনডিএ খুব বেশি হলে শ’দেড়েক আসনে জিততে পারে। ফলে ‘চারশো পারের’ সম্ভাবনা এখনও দূর অস্ত। উল্টো দিকে কংগ্রেস দাবি করেছে, প্রথম দু’দফার ভোটের মতো তৃতীয় দফায় ভোট হওয়া ৯৩টি আসনের সিংহ ভাগ আসন ইন্ডিয়া জোটই পেতে চলেছে।

আজ তেলঙ্গানায় নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছেন, ৩ দফায় ভোটের পরে ইন্ডিয়া জোটের ‘ফিউজ উড়ে গিয়েছে’। বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ জয়ের দিকে এগোচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু বিজেপি সূত্র বলছে— তৃতীয় দফায় যে ৯৩টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে, তার মধ্যে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে ভোটের হার কিছুটা বাড়লেও বিহারে ভোটের হার কমেছে। এই ৯৩টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি তথা এনডিএ ৭১টি আসনে জিতেছিল।

Advertisement

বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, ১৯৯১-এ যখন নরসিংহ রাও সরকার ক্ষমতায় আসে, তার আগে ১৯৮৯-এ যখন বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহের সরকার ক্ষমতায় এসেছিল, প্রতি বারই ভোটের হার কম ছিল। একমাত্র ১৯৯৯ সালে বাজপেয়ী সরকার যখন ১৩ মাস ক্ষমতায় থাকার পরে ফের ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসে, তখন ভোটের হার বেশি ছিল। ২০১৪ ও ২০১৯ সালেও যথেষ্ট ভোট পড়েছিল। কিন্তু সে বার নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে প্রবল হাওয়া ছিল। এ বার তা নেই। তার বদলে নির্বাচনে স্থানীয় বিষয় উঠে আসছে।

আজ কংগ্রেসের সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল বলেছেন, তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণের পরে সমস্ত আসন থেকে যে রিপোর্ট আসছে, তাতে স্পষ্ট, বিজেপি ঐতিহাসিক হারের মুখে পড়তে চলেছে। প্রথম দুই দফায় ভোটের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটির ভুয়ো জিনিসপত্র নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছিলেন। হিন্দুত্বের ধুয়ো তোলা থেকে কংগ্রেস মঙ্গলসূত্র, মোষ ছিনিয়ে নেবে বলে আতঙ্ক তৈরি করছিলেন। বেণুগোপাল বলেন, “এ সব মোদীর মরিয়া ভাবের প্রমাণ। উনি দেখতে পাচ্ছেন, পায়ের তলা থেকে জমি সরে যাচ্ছে। এর পরে উনি আরও মিথ্যে বলবেন। বিদ্বেষ ছড়াবেন। ইন্ডিয়া-র তরফে ঢেউ উঠছে।” বিজেপি অবশ্য আশা করছে, এখনও ৪ দফার ভোট বাকি। মোদীর পক্ষে হাওয়া ওঠার সময় এখনও রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন