প্রথমেই বলব, আমি একেবারে নন পলিটাক্যাল পার্সন। ভোট দিই। এটা আমার সামাজিক অধিকার বলেই মনে করি। লাইন এড়াতে সকাল সকাল ভোট দিই প্রত্যেকবার। এ বারও তাই যাব। কিন্তু কোন দল জিতবে বা হারবে সে সব নিয়ে কিছু বুঝি না, তাই কোনও মন্তব্য করব না। এমনিতে যে ভোটের আগে কাদা ছোড়াছুড়ি হয়, যেটা অলরেডি শুরু হয়ে গিয়েছে, সে সব দেখে তো আমরা অভ্যস্ত।
গত পাঁচ বছরের কথা যদি বলেন, আমি তো দিব্যি আছি। কোনও অসুবিধে নেই। কলকাতা অনেক সুন্দর হয়েছে। অনেক ব্রিজ, পার্ক হয়েছে। দেখতে ভালই লাগে। মফস্বলের হাইওয়ে এখন অনেক ফাস্ট। অনেক কম সময়ে পৌঁছে যাচ্ছি। হ্যাঁ কিছু জায়গায় খানা-খন্দ রয়েছে, সে সব ধীরে ধীরে ঠিক হবে। সব মিলিয়ে গত পাঁচ বছরের নিরিখে রাজ্য এগোচ্ছে বলেই মনে হয়।
তবে ভোটে জিতে যাঁরাই ক্ষমতায় আসুক, তাঁদের আমি প্রথমেই বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলব। কেউ যেন ফুটপাথে শুয়ে না থাকে এটা দেখতে হবে। ওঁদের জন্য কংক্রিটের বাড়ি তৈরি করে দিন প্লিজ। একটা করে ঘরই হোক। কিন্তু মাথার ওপর ছাদটা পাক। মূল কথা, দারিদ্র দূর করতেই হবে। আর তা ছাড়া মানুষ যাতে একটু কম খরচে ভাল ভাবে বাঁচতে পারে, সমাজে গুন্ডামি কমে সে সবও দেখতে হবে।
খুব ভারী ভারী কথা হয়ে যাচ্ছে। আচ্ছা, আমার প্রথম ভোট দেওয়ার এক্সপিরিয়েন্স শেয়ার করি আপনাদের সঙ্গে। তখন আমরা গড়িয়ায় থাকতাম। সাউথ পয়েন্টে আমাদের বুথ পড়েছিল। বাবা-মায়ের সঙ্গে গিয়েছিলাম মনে আছে। কিছুই না, ভোট দিয়ে প্রথম যেটা মনে হয়েছিল, এ বার আমি অ্যাডাল্ট হয়ে গেলাম। বেশ একটা ভারিক্কি ভাব এসেছিল নিজের মধ্যে।
এ বারের যারা নতুন ভোটার তাদের সকলের জন্য শুভেচ্ছা রইল। শুধু একটা ছোট্ট সাজেশন। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ভোট দিও না। এখন তোমরা যথেষ্ট বড় হয়েছ। টিভি দেখো, কাগজ পড়ো। বাড়ির লোক অমুককে ভোট দিচ্ছে বলে, আমিও তাকেই দেব, এটা কোরো না। নিজের বিচার-বুদ্ধি মতো যার কথা মনে হচ্ছে তাকে ভোট দাও। চোখ-কান খোলা রেখে দেখে, শুনে, বুঝে দাও জীবনের প্রথম ভোট।