পিতা-পুত্রের দোল। কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে মুকুল ও শুভ্রাংশু রায়। — সজল চট্টোপাধ্যায়
ভোট রাজনীতির বহুবর্ণ চালচিত্রে বুধবার আরও একটু রং লাগল। সৌজন্য দোল। জলের মধ্যে মাছ যেমন মিশে থাকে, ঠিক সেভাবেই মানুষের মধ্যে মিশে থাকার শিক্ষা সমান ভাবেই ভাগ করে নিয়েছে বাম-ডান সব পক্ষই। অন্তত কয়েকটা মাস, অন্তত ভোটের সময়।
অতএব, রং মাখলেন নেতারা, মাখালেনও কিছু। গান গাইলেন আমরা-ওরা সবাই। লাল-সবুজে মাখামাখি মুখে একদিনের জন্য সর্বরংসহা রূপ ফোটানো গেল। পররংসহিষ্ণুতার একটা পরিচয় বেরিয়ে আসায় পশ্চিমবঙ্গীয় রাজনীতিককুল নিশ্চয় খুশি। দোল অন্তত এই তথ্যটাকে ভুলিয়ে দিল, তৃণমূলের সভায় লাল চেয়ার নিষিদ্ধ, যেমনটা নিষিদ্ধ সবুজ, বামেদের সভায়।
সহ্যের সীমা কিন্তু এ দিন পর্যন্তই। আবির আপাতত ঢুকে যাবে আবার বাড়িতে বা পার্টি অফিসগুলোতে। ১৯ মে ভোটের ফল বেরনোর দিন আবার উড়বে আবির। কোনও এক শিবিরের জয়ের আবির। তার আগে পর্যন্ত অন্য কোনও হোলি যেন খেলা হয় না, এই কামনা থাকুক। রক্তের হোলি দেখে এই রাজ্য ক্লান্ত।