ভবানীপুরে হারছেন ‘হিটলার’, জিতছেন ‘আগুনপাখি’: দীপা

ভবানীপুরে ‘আগুনের পাখি’ জিতবেন। ‘অগ্নিকন্যা’ হারবেন। বললেন দীপা দাশমুন্সি। আত্মবিশ্বাস তাঁর এখন এতটাই। আনন্দবাজার ডিজিটালের জন্য অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে নাম না করে তৃণমূলনেত্রীকে ‘হিটলার’ বললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ভবানীপুর থেকেই ‘হিটলারি’ শাসনের অবসানের শুরু হতে চলেছে। মনে করছেন দীপা।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৬ ১০:৪৬
Share:

ভবানীপুরে ‘আগুনের পাখি’ জিতবেন। ‘অগ্নিকন্যা’ হারবেন। বললেন দীপা দাশমুন্সি। আত্মবিশ্বাস তাঁর এখন এতটাই। আনন্দবাজার ডিজিটালের জন্য অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে নাম না করে তৃণমূলনেত্রীকে ‘হিটলার’ বললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ভবানীপুর থেকেই ‘হিটলারি’ শাসনের অবসানের শুরু হতে চলেছে। মনে করছেন দীপা।

Advertisement

বিধানসভা নির্বাচনে লড়ার ইচ্ছাই ছিল না দীপা দাশমুন্সির। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির অনুরোধও ঠেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের ময়দানে নেমেই পড়লেন। নামলেন খোদ সনিয়া গাঁধীর অনুরোধে। বিধানসভায় লড়তেই যখন নামলেন, তখন ভবানীপুর থেকে কেন? এ রাজ্যে যে কোনও বিরোধী দলের জন্য এখন সবচেয়ে কঠিন আসন তো ভবানীপুরই। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী ক্ষেত্র। দীপা চাইলে তো ভবানীপুরে না দাঁড়িয়ে নিজের জেলা উত্তর দিনাজপুরের একাধিক কংগ্রেসি গড়ের যে কোনও একটি বেছে নিতে পারতেন! কেন নিলেন না? প্রিয়-ঘরনী জানালেন, সহজ লড়াইতে অভ্যস্ত নন তিনি। যোয়ান অব আর্ক-এর চরিত্রে অভিনয় করে গোটা কলকাতায় তিনি ‘আগুনের পাখি’ নামে পরিচিত হয়েছিলেন এক সময়। কিন্তু ‘আগুনের পাখি’ তিনি শুধু মঞ্চে নন, ব্যক্তিগত জীবনেও। বললেন, ‘‘খুব মসৃণ ভাবে তো আমি এই জায়গাটায় আসিনি। অনেক কাঁটার পথে হেঁটেছি, অনেক চড়াই উতরাই দেখে এসেছি। ব্যক্তিগত জীবনেও নিজের সঙ্গে যোয়ান অব আর্কের অনেক মিল পাই।’’

দেখুন সেই সাক্ষাত্কারের ভিডিও:

Advertisement

আরও পড়ুন:
মমতার বিরুদ্ধে আমি প্রার্থী হওয়ায় এগিয়ে গেল বাম-কংগ্রেস জোট: দীপা

দীপা দাশমুন্সি কিন্তু ভবানীপুরের লড়াইটাকে নিজের জন্য খুব একটা কঠিন ভাবছেন না। প্রতিকূল অবস্থাকে অনুকূলে আনার জন্যই তিনি রয়েছেন। বললেন অনেকটা তেমনই। টেনশনও নেই বিন্দুমাত্র। কণ্ঠস্বরে ভরপুর অত্মবিশ্বাস নিয়েই বলে দিলেন, ‘‘ভবানীপুরে আগুনের পাখিই জিতবে।’’ অর্থাৎ হারছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কী ভাবে এত নিশ্চিন্ত দীপা? বললেন, ‘‘একটাই পোস্ট, বাকি সবক’টা ল্যাম্পপোস্ট, এই হিটলারি শাসনটা বাংলার ক্ষেত্রে কিন্তু উপযুক্ত নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন