রিং রোড থেকে সাফাই, প্রার্থীরা নানা দাবির মুখে

এক দলের প্রার্থী বেরোলেন হুডখোলা জিপে চড়ে। অন্য পক্ষ ভরসা রাখলেন পদযাত্রায়। সোমবার দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্রে প্রচারে দেখা গেল এমন ছবিই। এ দিন সকালে মুচিপাড়া লাগোয়া এলাকায় প্রচারে যান তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ মজুমদার। আইটিআই, বাজার এলাকা ঘুরে তিনি যান খয়রাশোলে।

Advertisement

সুব্রত সীট

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৬ ০২:০৬
Share:

উপরে, প্রদীপ মজুমদার। নীচে, সন্তোষ দেবরায়। নিজস্ব চিত্র।

এক দলের প্রার্থী বেরোলেন হুডখোলা জিপে চড়ে। অন্য পক্ষ ভরসা রাখলেন পদযাত্রায়। সোমবার দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্রে প্রচারে দেখা গেল এমন ছবিই।

Advertisement

এ দিন সকালে মুচিপাড়া লাগোয়া এলাকায় প্রচারে যান তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ মজুমদার। আইটিআই, বাজার এলাকা ঘুরে তিনি যান খয়রাশোলে। হুডখোলা জিপে চড়ে হাসিমুখে হাত নাড়ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায়। মুচিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মাধব রুইদাস বলেন, ‘‘বাইরের লোক বলে একটু দোনামোনা ছিল। এখন দেখছি বেশ হাসিখুশি। প্রার্থীকে তো ভালই লাগল।’’

সিপিএম প্রার্থী সন্তোষ দেবরায় আবার এ দিন পায়ে হেঁটেই চষে বেড়ালেন। সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেসের কর্মীরাও। এবিএল কলোনি থেকে শুরু হয় মিছিল। এর পরে মামরা বাজার লাগোয়া সুভাষপল্লি ও গণতন্ত্র কলোনিতে যান তিনি। সন্তোষবাবু স্থানীয় বাসিন্দা। এলাকায় পরিচিত মুখ। অনেকেই তাঁকে দেখে কুশল জিজ্ঞাসা করেছেন। পাল্টা সৌজন্য জানিয়েছেন সন্তোষবাবুও। সুভাষপল্লিতে এক মহিলার সঙ্গে করমর্দন করতে গেলে তিনি বলেন, ‘‘জিতলে কিন্তু আপনাকে অনেক কাজ করতে হবে।’’

Advertisement

পুনর্বিন্যাসের পরে গঠিত দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্রে রয়েছে স্টিল টাউনশিপের বেশ কিছু অংশ, বিধাননগর এলাকা, বন্ধ কারখানা এমএএমসি, এইচএফসিএল, বিওজিএল-এর কলোনি। এ ছাড়া রয়েছে কাঁকসার গোপালপুর, মলানদিঘি ও আমলাজোড়া পঞ্চায়েত। গত পাঁচ বছর এই কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন চিকিত্‍সক নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়। সব ভোটেই এই কেন্দ্রের বাসিন্দারা মানুষ বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানাগুলি খোলার দাবি জানিয়েছেন। এ বারও প্রার্থীদের সেই দাবিই শুনতে হচ্ছে। বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক নিখিলবাবুকে ফের প্রার্থী করার দাবি উঠেছিল পঞ্চায়েত এলাকাগুলি থেকে। বাসিন্দাদের দাবি, গত পাঁচ বছরে এলাকার উন্নয়নে কাজ হয়েছে। নতুন কেউ বিধায়ক হলে সেই কাজের গতি কতটা বজায় থাকবে, সে নিয়ে সংশয় রয়েছে তাঁদের। দুই প্রার্থীকেই সে কথা জানিয়েছেন তাঁরা।

পানাগড়-মোড়গ্রাম রাজ্য সড়ক থেকে দুর্গাপুরকে ঘিরে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক পর্যন্ত রিং রোড গড়ার পরিকল্পনা থমকে গিয়েছে রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পরে। সিপিএম প্রার্থীর কাছে সেই প্রকল্প ফের শুরু করার আর্জি রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। আবার কাঁকসার বামুনাড়া, গোপালপুর এলাকায় বহু বহুতল আবাসন গড়ে উঠেছে। বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যায় বাসিন্দারা। তৃণমূল প্রার্থীর কাছে দলীয় কর্মীদের মাধ্যমে সেই সমস্যার কথা পৌঁছে দিয়েছেন বাসিন্দারা। প্রচারে বেরিয়ে সমাধানের দেদার আশ্বাসও দিচ্ছেন প্রার্থীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন