জোট বেঁধে গোটা রাজ্যে সমানে সমানে টক্কর দিলেও খানিকটা জটিলতা রয়েই গেল মুর্শিদাবাদে। এই জেলার ২২টি আসনের মধ্যে ১০টি আসনে বাম-কংগ্রেসের মধ্যে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’ হচ্ছে। শুক্রবার, মুর্শিদাবাদে প্রার্থী প্রত্যাহারের শেষ দিনে কোনও পক্ষই সরে না দাঁড়ানোয় ‘বন্ধুত্ব’ নিয়ে সংশয় রয়েই গেল। কংগ্রেস বলছে, শরিকদের মন রাখতে বামেরা কংগ্রেসের দখলে থাকা কিছু আসনে প্রার্থী দিয়েছে। সেখানে কংগ্রেসের সাংগঠনিক ক্ষমতাও বেশি। সিপিএম বলছে, আরএসপির চাপে এটা হয়েছে। ভরতপুরে কমলেশ চট্টোপাধ্যায় ও বড়ঞায় প্রতিমা রজক, দু’জনেই যে কংগ্রেসের শক্তিশালী প্রার্থী তা-ও মানছে তারা। জেলা কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতার অভিযোগ, সুতি নওদা কিংবা রঘুনাথগঞ্জের মতো আসনেও আরএসপি প্রার্থী দিয়েছে। এটা শরিকদের চাপে হলে বরাবর কংগ্রেসের জেতা জঙ্গিপুরে সিপিএম প্রার্থ়ী দিল কোন যুক্তিতে?’’ কংগ্রেস ওই ১০ আসনে সর্বস্ব দিয়ে লড়বে।
অধীর চৌধুরী বলছেন, ‘‘আমি কংগ্রেস ও বাম কর্মী-সমর্থকদের কাছে খোলাখুলিই আবেদন রাখছি, তৃণমূলকে রুখতে নিজেদের বুদ্ধি-বিবেচনা প্রয়োগ করে ভোট দিন।’’ জেলার বাম নেতারাও সে সুরেই কথা বলছেন। দিন কয়েক আগে বহরমপুরে এসে সূর্যকান্ত মিশ্রও জানিয়ে গিয়েছেন, বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের ফলে কোথাও তৃণমূল বা বিজেপি সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে দেখলে দলীয় কর্মীদের বসে যেতে বলবেন তিনি। তাতে বাম শরিদের একাংশ অসন্তুষ্ট হলেও সিপিএমের কাছে বার্তাটি স্পষ্ট, কংগ্রেসের শক্তি যেখানে বেশি সেখানে তাদেরই সাহায্য করা হবে। অধীরের মতে, মুর্শিদাবাদে জটিলতার ছাপ পড়বে না রাজ্যের অন্যত্র।