জোটের প্রার্থীর প্রচারে দেখা নেই কংগ্রেসের

জোটের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়েছে বেশ কিছুদিন। দেওয়ালে দেওয়ালে জোটের প্রার্থী বলেই লেখা চলছে। কিন্তু সরাসরি প্রচারে সিপিএম কর্মীদের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে না কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৬ ০৩:২৪
Share:

জোটের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়েছে বেশ কিছুদিন। দেওয়ালে দেওয়ালে জোটের প্রার্থী বলেই লেখা চলছে। কিন্তু সরাসরি প্রচারে সিপিএম কর্মীদের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে না কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের।

Advertisement

কেন? কালনার কংগ্রেস নেতাদের সাফ জবাব, দলের অনেক কর্মী-সমর্থকই সিপিএমের সঙ্গে বেরোতে আপত্তি করছেন। তা ছাড়া দলের উপর মহলের স্পষ্ট কোনও নির্দেশও এখনও আসেনি। অগত্যা জোটের হয়ে কালনায় একাই তেড়েফুঁড়ে প্রচার করছে সিপিএম।

কালনা বিধানসভা কেন্দ্রে এ বারও সিপিএমের হয়ে টিকিট পেয়েছেন গত বারের প্রার্থী সুকুল শিকদার। শহরের দেওয়ালে দেওয়ালে তাঁকে জোটের প্রার্থী ঘোষণা করে প্রচারও শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনকী, শহরের বাইরে কালনা ২ ব্লকের ৮টি এবং কালনা ১ ব্লকের ৩টি পঞ্চায়েত এলাকাতেও তাঁর সমর্থনে প্রচার চলছে। শুরু হয়ে গিয়েছে মিছিল, ছোট ছোট পথসভা এবং বাড়ি বাড়ি ভোট চেয়ে প্রচারও। কিন্তু বাম নেতা-কর্মীদের দেখা গেলেও ময়দানে দেখা নেই কংগ্রেসের। না দেওয়াল লিখন, না বাড়ি গিয়ে প্রচার কোনও জায়গাতেই দেখা মিলছে তাঁদের। কারণ জানতে চাওয়ায় কালনা শহর কংগ্রেসের সভাপতি জানান, বামেরা ডাকেনি। ডাক পেলেও দলের অনেকেই যাবেন না। কেন? তাঁর দাবি, ‘‘১৯৬৯ সালে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছিল বামেরা। নানা মিথ্যা অপবাদও দেয়। তাই বামেদের সঙ্গে একসঙ্গে চলা অসম্ভব। তাতে দল আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও কিছু যায় আসে না।’’ নেতাদের ক্ষোভের কথা মেনে নিয়েছেন জেলা কংগ্রেসের নেতারাও। কালনা ২ ব্লকের কংগ্রেস সভাপতি শাহনওয়াজ উদ্দিন মণ্ডল জানান, কিছুদিন আগে এলাকার দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে একটি বৈঠক করা হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা জানিয়ে দিয়েছিলেন জোটে তাঁদের সায় নেয়। দল একক ভাবে লড়ুক। সে কথা জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছিল। দলের প্রার্থী না পেয়ে প্রচারে উদ্যোম নেই কর্মীদের। তবে কংগ্রেস কর্মীদের অনাগ্রহ মানতে চাননি সিপিএম নেতারা। দলের কালনা জোনাল কমিটির সদস্য স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যে কোন মূল্যে তৃণমূলকে সরাতে সাধারণ মানুষ এই জোট গড়েছেন। এখানে পতাকাটা বড় নয়। লড়াইয়ে সম্মিলিত ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। তা ছাড়া প্রচারের ব্যাপারে কংগ্রেস নেতা কর্মীরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।’’ কিন্তু ভোটের মাঠে তাঁদের দেখা যাচ্ছে কই? জেলা কংগ্রেসের সভাপতি আভাস ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘জোটের তরফে প্রচার কি ভাবে হবে সে ব্যাপারে এখনও জেলার বাম নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়নি। বৈঠক হলেই ব্লকের নেতাদের তা জানিয়ে দেওয়া হবে।’’ তাঁর দাবি, রাজ্য স্তরে জোট হয়েছে। সেক্ষেত্রে জোটবিরোধী কাজ করলে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে পড়তে হবে।

Advertisement

বার্ষিক সম্মেলন। শনিবার কালনা শহরে হয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষা সমিতির বার্ষিক সম্মেলন। হাজির ছিলেন কালনা শহরের বিভিন্ন স্কুলের শতাধিক শিক্ষক শিক্ষিকা। সেখানে শিক্ষক নেতারা জানান, দলীয় প্রার্থীদের স্বপক্ষে সভা করতে হবে। যত বেশি সম্ভব ভোটারদের কাছেও পৌঁছতে হবে। শিক্ষকেরা অবশ্য বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবি তোলেন। ছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতি রথীন মল্লিক, জেলা সম্পাদক দেবব্রত মণ্ডল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন