তৃণমূলের সমর্থকদের ভোটও পাব, মমতা তাই আতঙ্কে, বললেন সূর্যকান্ত

শুধু কংগ্রেস আর বামেরা পরস্পরের মধ্যে ভোট দেওয়া-নেওয়া করবে তা-ই নয়, সাধারণ তৃণমূল সমর্থকদের ভোটও জোটের দিকেই পড়তে চলেছে। দাবি সূর্যকান্ত মিশ্রের। আনন্দবাজার ওয়েবসাইটের জন্য অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর মন্তব্য, ২০১১ সালের পর আর কোনও ভোটই হয়নি বাংলায়। মানুষের রায় বেরলে কী হবে, তা ভেবে আতঙ্কিত মমতা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৬ ১২:৪৭
Share:

শুধু কংগ্রেস আর বামেরা পরস্পরের মধ্যে ভোট দেওয়া-নেওয়া করবে তা-ই নয়, সাধারণ তৃণমূল সমর্থকদের ভোটও জোটের দিকেই পড়তে চলেছে। দাবি সূর্যকান্ত মিশ্রের। আনন্দবাজার ওয়েবসাইটের জন্য অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর মন্তব্য, ২০১১ সালের পর আর কোনও ভোটই হয়নি বাংলায়। মানুষের রায় বেরলে কী হবে, তা ভেবে আতঙ্কিত মমতা।

Advertisement

বহু টানাপড়েনের পর বামেদের সঙ্গে এ রাজ্যে নির্বাচনী সমঝোতা হয়েছে কংগ্রেসের। কিন্তু দুটি আলাদা মতাদর্শের দল কতটা মিশতে পারবে পরস্পরের সঙ্গে? দলের সক্রিয় কর্মীদের নিয়ে না হয় চিন্তা নেই। কিন্তু যাঁরা দুই দলের সাধারণ সমর্থক, তাঁদের কাছে কি ব্যাপারটা তেল আর জলকে মেশানোর চেষ্টা বলে মনে হবে না? কংগ্রেস সমর্থকরা কাস্তে-হাতুড়ি-তারায় আর বাম সমর্থকরা হাত চিহ্নে ভোট দিতে স্বস্তি বোধ করবেন? এমন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের কিন্তু এ সব নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। কংগ্রেস-বাম যে পরস্পরের মধ্যে মসৃণ ভাবে ভোট দেওয়া-নেওয়া করবেই, তা নিয়ে সূর্যবাবু প্রবল আত্মবিশ্বাসী। তাঁর আরও বিশ্বাস তৃণমূলের সাধারণ সমর্থক এবং বিজেপির ধর্মনিরপেক্ষ অংশও জোটের পক্ষেই ভোট দিতে চলেছে এ বারের নির্বাচনে। কারণটাও ব্যাখ্যা করে দিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। বললেন, ‘‘তৃণমূলের যাঁরা সাধারণ সমর্থক, তাঁরা কি সবাই চিট ফান্ডের মালিক? নাকি তাঁরা সবাই ঘুষখোর? তাঁরা কিন্তু এ সব মেনে নিচ্ছেন না। তার উপরে তৃণমূলের হাতেই তৃণমূল আক্রান্ত হচ্ছে। অতএব সাধারণ সমর্থকরা যাবেন কোথায়? তাঁরা যদি দেখেন যে একটা বিকল্প আছে, তা হলে সেখানেই তাঁরা ভোট দেবেন।’’

আরও পড়ুন:
রাতে ভয়ে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে? ওষুধ লিখে দিচ্ছি: মমতাকে কটাক্ষ সূর্যর

Advertisement

২০১১ সালে এ রাজ্যে শেষ নির্বাচন হয়েছিল বলেও সূর্যকান্ত মিশ্র মনে করছেন। তাঁর দাবি, ক্ষমতায় আসার পর থেকে আর কোনও নির্বাচনে মানুষের রায় প্রতিফলিত হতে দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের কথায়, ‘‘উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আতঙ্কগ্রস্ত যে মানুষ যদি সত্যি সত্যি রায় দিতে পারেন, তা হলে ওঁর অবস্থা কী হবে?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন