গান শুনছেন জিতেন্দ্র, গৌরাঙ্গর চোখ টেলিস্কোপে

সন্তানের পরীক্ষার ফল কেমন হবে, সে নিয়ে চিন্তা থাকে সব সময়েই। কিন্তু এ বার মেয়ের আইসিএসসি পরীক্ষার ফল নিয়ে সেই ভাবনা টের পাননি চৈতালি তিওয়ারি। কারণ, অন্য এক টেনশন যে মাথায় চেপে বসে আছে। মেয়ের ফলের থেকেও স্বামীর ফল নিয়েই যে এখন বেশি টেনশন তাঁর।

Advertisement

নীলোৎপল রায়চৌধুরী

পাণ্ডবেশ্বর শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৬ ০১:৩৩
Share:

-বাঁ দিকে, পরিবারের সঙ্গে জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ডান দিকে, দলের অফিসে গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়। —শৈলেন সরকার ও ওমপ্রকাশ সিংহ

সন্তানের পরীক্ষার ফল কেমন হবে, সে নিয়ে চিন্তা থাকে সব সময়েই। কিন্তু এ বার মেয়ের আইসিএসসি পরীক্ষার ফল নিয়ে সেই ভাবনা টের পাননি চৈতালি তিওয়ারি। কারণ, অন্য এক টেনশন যে মাথায় চেপে বসে আছে। মেয়ের ফলের থেকেও স্বামীর ফল নিয়েই যে এখন বেশি টেনশন তাঁর।

Advertisement

চৈতালিদেবীর স্বামী, আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি এ বার পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল প্রার্থী। ভোট হয়ে গিয়েছে ১১ এপ্রিল। ফল বেরোবে ১৯ মে। মাঝের সময়টা যেন বড্ড বেশি লম্বা মনে হচ্ছে, আসানসোলে নিজের আবাসনে বসে বলেন তিনি। ভোটের ফলাফল কী হবে সে নিয়ে যে টেনশনে রয়েছেন, স্ত্রী সে কথা স্বীকার করলেও জিতেন্দ্রবাবু মুখে তা মানতে নারাজ। ভোট মেটার পরেই পুরসভার কাজকর্মে নেমে পড়েছেন। চৈতালিদেবী জানান, যতক্ষণ বাড়িতে থাকছেন, গান শুনে আর মেয়ে পল্লবীর সঙ্গে খুনসুটি করে সময় কাটাচ্ছেন স্বামী। তবে মাঝে-মধ্যেই বলে ফেলছেন, ‘‘আর যেন ক’দিন বাকি!’’ মুখে তাই টেনশনে নেই বললেও স্বামীর মনে যে কী হচ্ছে, তা তিনি বেশ বুঝছেন বলে জানাচ্ছেন চৈতালিদেবী।

জিতেন্দ্রবাবুর মেয়ে পল্লবী জানান, বাবা জগজিৎ সিংহ, গুলাম আলি, বেগম আখতার, মেহেদি হাসান, মান্না দে-র গান শুনতে পছন্দ করেন। এখন সে সব আরও বেশি করে শুনছেন। জিতেন্দ্রবাবু নিজে বলছেন, ‘‘যে দিন আমাকে দল আসানসোল থেকে পাণ্ডবেশ্বরে প্রার্থী করে পাঠিয়েছে, সে দিন থেকেই টেনশন করা ছেড়ে দিয়েছি। দল আমাকে যোগ্য মনে করেছে বলেই ওখানে প্রার্থী করেছে। তাই টেনশনের কিছু নেই। হার-জিত সব নয়। পাণ্ডবেশ্বরে গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়ের মতো লড়াকু মানসিকতার এক জনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভাল লাগছে।’’

Advertisement

ভোট মিটে যাওয়ার পরেও ব্যস্ততা কমেনি সিপিএম প্রার্থী গৌরাঙ্গবাবুর। দলের কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন অভিযোগে দৌড়দৌড়ি করেছেন। তবে এখন সময় পেলে মাছ ধরতে বসে পড়ছেন। দু’রাত টেলিস্কোপে চোখ রেখে গ্রহ দেখেছেন। গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টে সিটুর দায়ের করা দু’টি মামলার তদারকি করতে দিল্লি গিয়েছিলেন। শুক্রবার ফিরেছেন। সিপিএমের কর্মীরা জানান, দলের অফিসে বইপত্র পড়েই সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থী তথা বিদায়ী বিধায়ক। গৌরাঙ্গবাবু জানান, আজ, সোমবার সূর্যের সামনে দিয়ে বুধের চলন দেখা যাবে। তা দেখার জন্য এক্স-রে প্লেট জোগাড় করে তৈরি হচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘‘কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকে ভোটে লড়ছি। তাই টেনশনের কোনও কারণ দেখছি না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন