রাজীব কুমারকে সরাতে কমিশনকে ফের চাপ বামফ্রন্টের

নির্বাচন কমিশনের কাছে কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ফের দাবি জানাল সিপিএম। মঙ্গলবার রাজ্য জুড়ে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করে কলকাতা জেলা বামফ্রন্ট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:০৬
Share:

বামফ্রন্টের বিক্ষোভে মহম্মদ সেলিম। —নিজস্ব চিত্র

নির্বাচন কমিশনের কাছে কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ফের দাবি জানাল সিপিএম। মঙ্গলবার রাজ্য জুড়ে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করে কলকাতা জেলা বামফ্রন্ট। সেখানে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘পুলিশ কর্মীদের একাংশ শাসক দলের হয়ে কাজ করছেন। জেনে রাখুন, আপনাদের কমিশনারই তাঁর পদে থাকবেন কি না, সেটা মানুষকে বুঝে নিতে হবে।’’

Advertisement

রাজীব কুমারের নির্দেশেই বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহকে দুই পুলিশ কর্মী ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে নির্বাচন কমিশনে আগেই বিরোধীরা অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশ কমিশনার শাসক দলের হয়ে কাজ করছেন, এই অভিযোগের ভিত্তিতে রাজীবকে কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার তৎপরতাও শুরু হয়েছিল। কিন্তু এখনও সে ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা না হওয়ায় কমিশনের উপর এ দিন সিপিএম চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করেছে।

প্রথম দফার ভোটে ১৮টি বিধানসভা আসনের বেশ কিছু জায়গায় রাজ্য প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের সুযোগ নিয়ে শাসক দল দাপিয়ে বেড়িয়েছে বলে অভিযোগ সেলিমের। মানুষ অবশ্য সে সব উপেক্ষা করেই ভোট দিয়েছেন সেলিমের দাবি। রাজ্য প্রশাসন নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করুক, মুখ্য নির্বাচনী অফিসার সুনীল গুপ্তের কাছে ফের এ দিন সিটু নেতা অনাদি সাহুর নেতৃত্বে বামফ্রন্টের এক প্রতিনিধিদল এই দাবি পেশ করেছে। পরে অনাদিবাবু বলেন, ‘‘আমরা রাজ্যে সুষ্ঠু ভাবে ভোট করানোর দাবি জানিয়েছি। তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রশাসন পক্ষপাতিত্বমূলক অবস্থান নিচ্ছে, কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। কলকাতা পুলিশের কমিশনারের ভূমিকা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে।’’ সিপিএম নেতাদের আরও অভিযোগ, কমিশনে তৃণমূলের বেশ কিছু কর্মী আছেন, যাঁরা শাসক দলের চরের কাজ করছেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন