ভোট কড়চা

মাংসের বদলে মাছ: স্থানীয় বুথ এলাকার কর্মীদের জন্য খড়িকার এক হোটেলে দুপুরের খাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল তৃণমূল। কর্মীদের হাতে একটি করে স্লিপ দেওয়া হয়েছিল। হোটেলে এসে ওই স্লিপ জমা দিলেই মিলেছে খাবার। কর্মীদের জানানো হয়েছিল, দুপুরে মাংস-ভাতের ব্যবস্থা থাকছে। ইচ্ছে মতো মাংস নেওয়া যেতে পারে! দুপুরে দলবেঁধে খেতে এসেছিলেন জনা কয়েক কর্মী। কিন্তু পাতে মাংস আসেনি!

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৬ ০০:৩৪
Share:

মাংসের বদলে মাছ
স্থানীয় বুথ এলাকার কর্মীদের জন্য খড়িকার এক হোটেলে দুপুরের খাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল তৃণমূল। কর্মীদের হাতে একটি করে স্লিপ দেওয়া হয়েছিল। হোটেলে এসে ওই স্লিপ জমা দিলেই মিলেছে খাবার। কর্মীদের জানানো হয়েছিল, দুপুরে মাংস-ভাতের ব্যবস্থা থাকছে। ইচ্ছে মতো মাংস নেওয়া যেতে পারে! দুপুরে দলবেঁধে খেতে এসেছিলেন জনা কয়েক কর্মী। কিন্তু পাতে মাংস আসেনি! যা দেখে শাসক দলের এক কর্মী হাঁক পাড়েন, “শুধু কি আর ডাল-তরকারি দিয়ে ভাত খাওয়া যায়? ওটা দেবেন না?” হোটেলের এক কর্মী সাড়া দেন, “হ্যাঁ দিচ্ছি।” এ বার আসে মাছ। যা দেখে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন তৃণমূল কর্মী। হোটেল মালিক বলছিলেন, “সব কথা তো আর রাখা যায় না! ভোটের বাজার! এত মাংস পাবো কোথায়?”

ফুলের ছোট-বড়
মেদিনীপুরের গোদাপিয়াশালে সকালে ভোটারদের বাড়িতে পৌঁছেছে শাসকদলের মোটরবাইক, চারচাকা। একেবারে বুথের সামনে নামিয়েও স্বস্তি নেই। বোতাম না-টেপা পর্যন্ত চলেছে সতর্কবাণী— ‘‘দ্বিতীয় বোতামটা। দ্বিতীয়টা কিন্তু মৃগেন মাইতির। দ্বিতীয়টা জোড়াফুল।’’ এক তৃণমূল কর্মীর কথায়, “একটু সমস্যা রয়ে গিয়েছে। প্রথম বোতামেও তো ফুল। ওটা পদ্ম, ‘সাইজ’-এ বড়। তারপর জোড়া ফুল। জোড়া বলে ‘সাইজটা’ একটু ছোট। যদি ফুল ভেবে কেউ প্রথমটা টিপে দেয়! তাই বারাবর বোঝানো।”

আটক পর্যবেক্ষক
সকাল সাড়ে ১০টা। নয়াগ্রামের চাঁদাবিলায় বুথের সামনে আসার চেষ্টা করছিল একটি সাদা গাড়ি। আটকে দিলেন আধাসেনার জওয়ানরা। ভিতরে থেকে নেমে এলেন বেঁটেখাটো এক ব্যক্তি। পরিচয় পত্র দেখাতে হবে, দাবি জওয়ানের। কিন্তু পরিচয়পত্রে দেখেও সন্তুষ্টি নেই। ডাকা হল সেনার সিনিয়র আধিকারিককে। আরও এক দফা পরিচয় যাচাইয়ের পর বুথে ঢুকতে দেওয়া হল নয়াগ্রামের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পুসারাম পণ্ডতকে।

Advertisement

মায়ের কাছে

Advertisement

গ্রামে এসে ভোট দিয়ে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপবাবুর দেশের বাড়ি নয়াগ্রাম বিধানসভার কুলিয়ানায়। সোমবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ গ্রামে এসেই চলে যান ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে। তারপর বাড়ি গিয়ে দেখা করেন মা পুষ্পলতাদেবীর সঙ্গে। মায়ের সাতসকালেই ভোট দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। দিলীপবাবু বলছিলেন, “২০১১-তেও এখানে এসে ভোট দিয়েছি। তখন মা- কে নিয়েই গিয়েছিলাম।”

বিকল যন্ত্র

একাধিক জায়গায় ইভিএম খারাপ হওয়ার ঘটনা ঘটল সোমবার। আটকে থাকল ভোটগ্রহণ। যা দেখে বিরক্ত ভোটারেরা। মেদিনীপুর কেন্দ্রের পাহাড়িপুর বিদ্যালয়, মীরবাজার, আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিদ্যাসাগর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ-সহ বেশ কিছু জায়গায়। বিদ্যাসাগর টিচার্স ট্রেনিং কলেজে আবার একটি বোতাম টিপলে দু’টিতে আলো জ্বলার ঘটনাও ঘটল। অভিযোগ পেয়ে যন্ত্র ঠিক করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন