খড়্গপুরের সভায় জোট-নেতৃত্ব। নিজস্ব চিত্র।
লাল আর তেরঙ্গা পতাকায় মোড়া যৌথ প্রচারের সভা মঞ্চে এগিয়ে থাকার ভাবনা ছড়াল কংগ্রেস। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা জ্ঞানসিংহ সোহন পালের সমর্থনে প্রচারে এসেছিলেন সোমনে মিত্র। সোমবার খড়্গপুর টাউন হল প্রাঙ্গনে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, ‘‘এই বাম-কংগ্রেস জোটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে ২০১৯ সাল পর্যন্ত। স্লোগান তুলতে হবে মোদী হঠাও, দেশ বাঁচাও।’’
খড়্গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী চাচা ছাড়াও এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য দীপক সরকার, কংগ্রেস জেলা সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া, শহর সভাপতি অমল দাস, নেতা রবিশঙ্কর পাণ্ডে। সেই মঞ্চ থেকে শুধু বিধানসভা নয়, আগামী লোকসভার কথা বলে রাখল কংগ্রেস।
ভিড়ে ঠাসা টাউন হল চত্বরে কংগ্রেসের তুলনায় বামেদের উৎসাহ ছিল বেশি, অন্তত পতাকার সংখ্যায় তেমনটা মনে হতেই পারে। সোমেনবাবু এ দিন বলেন, “আমরা ভাবতে পারিনি। এ ভাবে লাল-তেরঙ্গা পতাকা একসঙ্গে নেমে ভোট চাইব।’’ কিন্তু কেন এমন হল? উত্তরটাও নিজেই দিয়েছেন, ‘একটা অসহিষ্ণু পরিস্থিতির জন্য সমস্ত রাজনৈতিক মতবাদের ঊর্ধ্বে উঠে মানুষের স্বার্থে এই জোট।’ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীপক সরকারও বলেন, “এই জোট ভারতের নির্বাচনের ইতিহাসে অনন্য নজির।” সোমনবাবু মনে করিয়ে দেন, “পাঁচ বছর আগে তো আমরা তৃণমূলের সঙ্গী ছিলাম। এখন এ কথা স্বীকার করতে লজ্জা নেই যে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। ব্যর্থ হয়েছে।”
সোমবার এই খড়্গপুরেই বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের সমর্থনে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছিলেন, “কংগ্রেস চেয়ারের খেলা করছে। বামেদের সঙ্গে কেরলে ওঁদের কুস্তি হচ্ছে। আর বাংলায় দোস্তি হচ্ছে।” তার উত্তর দিতে ভোলেননি কংগ্রেস নেতা। সোমেন মিত্র বলেন, “রাজ্যে দিদিভাই, কেন্দ্রে মোদীভাই। এদের সুর একই।” নারদকাণ্ড নিয়েও সমালোচনা শোনা গিয়েছে জোট নেতৃত্বের গলায়। সোমেন বলেন, “সারদা থেকে নারদা সব ধামাচাপা দিতে মুখ্যমন্ত্রী ধমকাচ্ছেন। কিন্তু ধমকে-চমকে মানুষকে আটকানো যাবে না।”
বাম-কংগ্রেস জোট জিতলে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সোমেনবাবু বলেন, “সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ঠিক করবে তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন।’’