এই ফোনেই কমিশন সম্পর্কে অবমাননাকর নির্দেশ আনোয়ারের।
নজরবন্দি থাকা আনোয়ার খানকেও খুঁজে পেল না পুলিশ! আজ সকালে নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে চূড়ান্ত অবমাননাকর মন্তব্য করেন কাশীপুর অঞ্চলের তৃণমূল নেতা আনোয়ার খান। নজরবন্দি থাকা অবস্থাতেই তিনি ফোনে দলের কর্মীদের বলেন, ‘‘কমিশন কে মুহ্ পে জুতা মারো।’’ এই মন্তব্যের ভিডিও সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হতেই নির্বাচন কমিশন আনোয়ারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু পুলিশের তরফে কিছুক্ষণ পরে জানানো হয়, আনোয়ারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি পলাতক।
নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্রকে ফোন করে আনোয়ারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেন। কমিশনার সৌমেন মিত্র ডিসি নর্থ শুভঙ্কর সিংহ সরকারকে ফোন করে আনোয়ার খানের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। ডিসি নর্থ বিশাল বাহিনী নিয়ে কাশীপুরে পৌঁছন। কিন্তু লালবাজারকে কিছু ক্ষণ পরে তিনি জানিয়ে দেন, আনোয়ারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
দেখুন সেই বিতর্কিত মন্তব্যের ভিডিও:
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে আগে থেকেই নজরবন্দি ছিলেন আনোয়ার খান। সেই অবস্থাতেই তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তার পরই আরও কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ। এ বার আনোয়ারকে হয় আটক না হলে গ্রেফতার করতে হত কলকাতা পুলিশকে। কিন্তু হঠাৎ এল আনোয়ারের অন্তর্ধানের খবর। নজরবন্দি থাকা অবস্থায় এক জন নেতা কী ভাবে বেপাত্তা হয়ে গেলেন? এই প্রশ্নের কোনও জবাব এখনও কলকাতা পুলিশ দেয়নি।
অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রেও একই রকম ঘটনা ঘটছে। কমিশনের নির্দেশে নজরবন্দি থাকা অনুব্রত বুধবারও বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। বর্ধমানের তিনটি ও মুর্শিদাবাদের দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের তরফে তিনিই পর্যবেক্ষক। সেই পাঁচ কেন্দ্রের পরিস্থিতি দেখভাল করতেই অনুব্রত বেরিয়ে যান বুধবার। বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদে যখন দাপিয়ে বেড়িয়েছেন অনুব্রত, তখন তাঁর উপর নজর রাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা অনুব্রতর বাড়িতেই বসে থেকেছেন দিনভর।