ভোট-লুঠ রুখতে ‘সাংবাদিক’ নামাচ্ছে জোট

ওঁরা ‘সাংবাদিক’! তবে, শনিবার পর্যন্ত। নোটবুক-কলমের পরিবর্তে ওঁদের অস্ত্র স্মার্টফোন। খবরের কাগজের দফতরে বা টিভি চ্যানেলে ওঁদের খবর পাঠানোর দায় নেই।

Advertisement

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় ও দিলীপ নস্কর

চুঁচুড়া ও মন্দিরবাজার শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৫৬
Share:

ওঁরা ‘সাংবাদিক’!

Advertisement

তবে, শনিবার পর্যন্ত। নোটবুক-কলমের পরিবর্তে ওঁদের অস্ত্র স্মার্টফোন।

খবরের কাগজের দফতরে বা টিভি চ্যানেলে ওঁদের খবর পাঠানোর দায় নেই। ওঁদের কাজ, ভোট-লুঠের চেষ্টা রোখা। বুথের বাইরে কোনও জমায়েত হলে বা ভোটাররা কোনও অভিযোগ তুললে মোবাইল-অ্যাপের মাধ্যমে তা নির্বাচন কমিশনকে জানানো।

Advertisement

বুথে ভূতের কেত্তন থামাতে বনগাঁ মহকুমায় বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে গড়া হয়েছিল ‘বুথ সংগ্রাম কমিটি’। গত সোমবার সেখানে বুথে বুথে ঘুরেছেন ওই কমিটির সদস্যেরা। রাজ্যে
শনিবার ষষ্ঠ দফায় ভোট হতে চলেছে হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতার বাকি বুথে। এর মধ্যে গোটা হুগলি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য বনগাঁ-মডেলেই ‘সাংবাদিক বাহিনী’ নামাতে চলেছে বিরোধী জোট।

হুগলির ১৮টি কেন্দ্রের সব বুথের জন্যই ৩-৪ জন করে ‘বুথ সাংবাদিক’ থাকছেন। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘‘দলের ছেলেরা
যে খবর পাবে সঙ্গে সঙ্গে কমিশনকে জানাবে। মানুষ যে ভাবে রুখে দাঁড়িয়েছেন, তৃণমূল পেশিশক্তি দিয়ে তা ঠেকাতে পারবে না।’’ কংগ্রেসের তরফে এই জেলায় ভোট পরিচালনার জন্য কন্ট্রোল-রুমও খোলা হচ্ছে। মন্দিরবাজারের জোটপ্রার্থী, সিপিএমের শরৎচন্দ্র হালদারও বলেন, ‘‘মানুষ যাতে ঠিকমতো ভোট দিতে পারেন এবং এলাকায় যাতে সন্ত্রাস না হয় তার জন্যই এই ব্যবস্থা।’’

গত কয়েক বছরে পঞ্চায়েত ভোট, লোকসভা ভোট ও পুরভোটে বারবার শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোট-লুঠ, হুমকি দেওয়া, মারধর বা ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নানা এলাকা থেকে। এ বার কমিশন প্রথম থেকেই কড়া। নানা পদক্ষেপও করেছে তারা। তা-ও কিছু এলাকায় শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোট-লুঠের অভিযোগ শোনা গিয়েছে। তাই বিরোধীরা আরও এককাট্টা হচ্ছে!

বুধবারই হুগলি জেলা সিপিএম সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী এবং শ্রীরামপুরে জোট প্রার্থী কংগ্রেসের শুভঙ্কর সরকার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুনীল গুপ্তের সঙ্গে দেখা করে ভোটের আগে জেলার পরিস্থিতির কথা তাঁকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান। এর আগেই জেলায় ‘স্পর্শকাতর’ এবং ‘অতি স্পর্শকাতর’ বুথের তালিকা কমিশনকে দেওয়া হয়েছিল জেলা সিপিএমের পক্ষ থেকে। দেওয়া হয় সমাজবিরোধীদের নামের তালিকাও। তা ছাড়াও, যে সব ভোটার অন্যত্র চলে গিয়েছেন বা যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের নামের তালিকাও ইতিমধ্যে কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন