Mamata Banerjee

Bengal Polls: সীমানা সিলের দাবি মমতার

মমতা বলেন, ‘‘ওদের সঙ্গে অনেক এজেন্সি রয়েছে। রাজ্য সরকারের সব প্রশাসন এখন নির্বাচন কমিশনের আওতায়। তাহলে ভোট হতে চলা এই পাঁচটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশাসন কেন নির্বাচন কমিশনের আওতায় থাকবে না?’’

Advertisement

প্রশান্ত পাল  , শুভ্রপ্রকাশ মণ্ডল

কাশীপুর, রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২১ ০৪:৫২
Share:

—ফাইল চিত্র।

যে রাজ্যগুলিতে নির্বাচন হচ্ছে, সেখানে কেন্দ্রীয় প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের আওতায় যাবে না কেন— প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার পুরুলিয়া জেলার পাড়া, কাশীপুর ও রঘুনাথপুরের ভিড়ে ঠাসা সভায় তিনি ভোটের আগে প্রতিবেশী রাজ্যগুলির সঙ্গে সীমানা ‘সিল’ করা ও ‘নাকা চেকিং’ বাড়ানোর দাবিতেও সরব হন।

Advertisement

মমতা বলেন, ‘‘ওদের সঙ্গে অনেক এজেন্সি রয়েছে। রাজ্য সরকারের সব প্রশাসন এখন নির্বাচন কমিশনের আওতায়। তাহলে ভোট হতে চলা এই পাঁচটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশাসন কেন নির্বাচন কমিশনের আওতায় থাকবে না?’’ এ দিন তিনি ফের কেন্দ্রীয় বাহিনীর একাংশের নিরপেক্ষতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচনের আগের দিন ট্রেনে করে বহিরাগত ঢুকিয়ে ভোট লুটের আশঙ্কার কথাও তোলেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ড থেকেও লোক পাঠাবে। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী (হেমন্ত সরেন) আমাদের হয়ে ভোট প্রচারে আসছেন। তাঁকে বলব, নির্বাচন কমিশনকেও বলব, সব সীমানা যেন সিল করা হয়। এখনও অযোধ্যাপাহাড় এলাকার সীমানা সিল না করায় সেখান দিয়ে গুন্ডারা ঢুকছে। সব আমি জানি। প্রশাসনকে বলব, দয়া করে সীমানা সিল করুন।’’ তিনি আসানসোল-ঝাড়খণ্ড সীমানায় পাঞ্চেত জলাধার ব্যারাজের প্রসঙ্গ তুলে ‘নাকা চেকিং’ বাড়ানোর দাবি তোলেন। অভিযোগ তোলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের স্ট্যাম্প লাগানো গাড়ি থেকে কেউ কেউ টাকা বিলি করছে।’’

Advertisement

বহিরাগত কারা— এ দিন কাশীপুরের সভায় তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘হিন্দিতে কেউ কথা বললেই তাকে বহিরাগত ভাববেন না। বহিরাগত গুন্ডারা দেখবেন পানমশলা চিবোচ্ছে, মুখ দিয়ে রস গড়াচ্ছে। কপালে তিলক কেটে বলছে, নিকাল যাও, বাহার যাও, বিজেপিকো ভোট দাও। হাম রুপিয়া দেতা হ্যায়।’’ কর্মীদের পরামর্শ দেন, এলাকায় বহিরাগত দেখলেই তাঁরা যেন পুলিশে খবর দেন। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ভিডিয়োয় দেখেছেন, ঝাড়গ্রামের এক বিজেপি প্রার্থী নির্বাচনের আগের দিন ভোটারদের টাকা নিয়ে যেতে বলছেন।

মমতা জনতার কাছে দাবি করেন, তাঁদের ভোট না দিলে বিজেপি এসে রাজ্যের সব প্রকল্পের সুবিধা বন্ধ করে দেবে। আর তৃণমূল এলে আরও সুবিধা মিলবে। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ দিন পুরুলিয়ারই বোরোর সভায় বলেন, ‘‘ভাঙা পা দেখিয়ে উনি সহানুভূতির ভোট চাইছেন। বাংলার মেয়েকে আমরা চাই। তবে এমন নাটুকে মেয়েকে চাই না।’’
আর মমতা বলেন, ‘‘আমি চাই গণতান্ত্রিক ভাবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক। তাহলেই বিজেপি ডুগডুগি বাজাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন