TMC

Bengal Polls 2021 : ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ উপ-নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের অপসারণ চাইল তৃণমূল, চিঠি সিইও-কে

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা উপ-নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনকে তাঁর পদ থেকে সরানোর দাবি তুলল তৃণমূল। রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বৃহস্পতিবার সুদীপের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ এনে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-কে। দলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠকেও ভোটের দায়িত্ব থেকে সুদীপকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি তুলেছেন। সুদীপ রাজ্য পুলিশকে এড়িয়ে কাজ করছেন বলে বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেন সৌগত। তিনি বলেন, ‘‘যদি বিহার, তামিলনাড়ুতে এক দফায় ভোট হতে পারে, বাংলায় আট দফা কেন? সুদীপ জৈনের ইস্তফা দাবি করছি। এর আগেও ওঁর পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ আমাদের নজরে এসেছে। ২০১৯ সালে অমিত শাহের মিছিলের সময় বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙায় ভুল রিপোর্ট দিয়েছিলেন।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২১ ১৬:৪৬
Share:

সুদীপ জৈন এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন। —ফাইল চিত্র

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা উপ-নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনকে তাঁর পদ থেকে সরানোর দাবি তুলল তৃণমূল। রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বৃহস্পতিবার সুদীপের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ এনে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-কে। দলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠকেও ভোটের দায়িত্ব থেকে সুদীপকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি তুলেছেন।

Advertisement

সুদীপ রাজ্য পুলিশকে এড়িয়ে কাজ করছেন বলে বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেন সৌগত। তিনি বলেন, ‘‘যদি বিহার, তামিলনাড়ুতে এক দফায় ভোট হতে পারে, বাংলায় আট দফা কেন? সুদীপ জৈনের ইস্তফা দাবি করছি। এর আগেও ওঁর পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ আমাদের নজরে এসেছে। ২০১৯ সালে অমিত শাহের মিছিলের সময় বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙায় ভুল রিপোর্ট দিয়েছিলেন। উনি পক্ষপাতদুষ্ট, তাই সেই সময় প্রচার বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কুইক রেসপন্স টিম চালু করেছিলেন। সংবিধান বহির্ভূত কাজ করেছিলেন।’’

ডেরেকের চিঠিতেও বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা নিয়ে ‘ভুল রিপোর্ট’ এবং লোকসভা ভোটের সময় ‘কুইক রেসপন্স টিম’ গঠনের প্রসঙ্গ এসেছে। ডেরেক লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফ এবং রাজ্য পুলিশকে নিয়ে গঠিত কুইক রেসপন্স টিমের নেতৃত্বে একজন সিআরপিএফ আধিকারিককে রাখার ব্যবস্থা চালু করেছিলেন সুদীপ জৈন। ভারতীয় সংবিধানের সপ্তম তফসিলের দু’নম্বর ধারা অনুযায়ী আইন শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি রাজ্যের এক্তিয়ার ভুক্ত। এমন সিদ্ধান্ত দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোরও পরিপন্থী’।

Advertisement

ডেরেকের চিঠি নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, চিঠিটি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাবের এন এস রোড (ফেয়ারলি প্লেজ, বি বা দি বাগ)-এর ঠিকানায়। উপ-নির্বাচন কমিশনার সম্পর্কে কোনও পদক্ষেপ করার প্রশাসনিক এক্তিয়ার তাঁর নেই। এ ক্ষেত্রে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের কমিশনই উপ-নির্বাচন কমিশনারের মতো আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন