নাম ঘোষণার পর কোচবিহার মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিলেন অভিজিৎ দে ভৌমিক। —নিজস্ব চিত্র।
প্রার্থিতালিকা ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোচবিহারে প্রচারে নেমে পড়লেন তৃণমূলের নেতারা। শুক্রবার কোচবিহার জেলার ৯টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘোষণার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই প্রচারে নেমে পড়েছেন কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অভিজিৎ দে ভৌমিক। ইতিমধ্যেই তাঁর নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে। পিছিয়ে নেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষও। রাজ্য নেতৃত্বের কাছ থেকে গ্রিন সিগন্যাল পেয়েই পোস্টার ছাপিয়ে ফেলেছেন তিনি। একইরকম ভাবে বিভিন্ন জায়গায় সভা করে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন অন্য প্রার্থীরা।
শুক্রবার তৃণমূল যে প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করেছে, তাতে মেখলিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে অর্ঘ্য রায় প্রধানের পরিবর্তে এ বার প্রার্থী করা হয়েছে পরেশচন্দ্র অধিকারীকে। মাথাভাঙা বিধানসভা কেন্দ্রে বিনয় কৃষ্ণ বর্মণের পরিবর্তে প্রার্থী করা হয়েছে গিরিন্দ্রনাথ বর্মণকে। মাথাভাঙার পরিবর্তে বিনয়কৃষ্ণ বর্মণকে কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে।
কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের নতুন মুখ অভিজিৎ দে ভৌমিক। নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। তুফানগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ফজল করিম মিয়াঁর পরিবর্তে এ বার প্রার্থী প্রণব কুমার দে। দিনহাটায় তৃণমূলের প্রার্থী উদয় গুহ। সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়াকে প্রার্থী করা হয়েছে। আবার শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রে হিতেন বর্মণকে সরিয়ে প্রার্থী করা হয়েছে কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়কে।
গত বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহার জেলায় ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল জয়লাভ করে। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া দাপটে ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের তুলনায় বেশি ভোট পায় বিজেপি। কোচবিহার জেলায় লোকসভা ভোটে বিজেপি জয় লাভ করে। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় বাদ পড়েছে ৩ বর্তমান বিধায়ক। প্রার্থিতালিকায় আনা হয়েছে নতুন মুখ।
এ বারের নির্বাচনে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের পরিবর্তে কোচবিহার উত্তরের টিকিট পেয়ে স্থানীয় তৃণমূলের কর্মীদের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে বিনয়কৃষ্ণ বর্মণকে। তিনি বলেন, ‘‘আমি নিজের বিধানসভা কেন্দ্র যে ভাবে চিনি, কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র ততটাই অপরিচিত আমার কাছে। তাই তৃণমূল নেতৃত্ব যে ভাবে পরিচালনা করবেন, সে ভাবেই চলতে হবে।’’ ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের নির্বাচনী লড়াই যে কঠিন হতে চলেছে, তেমন ইঙ্গিতও মেলে তাঁর কথায়।