বাধা নেই আর, ছবি তবু বিধির আড়ালেই

শীর্ষ আদালতের বাধা কাটল। কিন্তু ভোটের দিনগুলিতে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি রয়ে গেল আড়ালেই। বাঘা-বাঘা আইনজীবী দিয়ে মামলা লড়েও ভোটে তার ফায়দা পেল না তৃণমূল সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৬ ০৪:০৭
Share:

শীর্ষ আদালতের বাধা কাটল। কিন্তু ভোটের দিনগুলিতে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি রয়ে গেল আড়ালেই। বাঘা-বাঘা আইনজীবী দিয়ে মামলা লড়েও ভোটে তার ফায়দা পেল না তৃণমূল সরকার।

Advertisement

সরকারি বিজ্ঞাপনে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ছাপায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশ ছিল, সরকারি বিজ্ঞাপনে শুধু রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান বিচারপতির ছবি ব্যবহার করা যাবে। আদালত আজ ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল। বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও বিচারপতি পিনাকীচন্দ্র ঘোষ নিজেদের রায়ে সংশোধন করে জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের ছবিও ব্যবহার করা যাবে। কোনও মন্ত্রকের বিজ্ঞাপনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর ছবিও ব্যবহার করা যেতে পারে।

কিন্তু ভোটের বাজারে তাতে কোনও লাভ হচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কারণ আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে যাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর ছবি-সহ সরকারি বিজ্ঞাপন তো দূর অস্ত, যাবতীয় হোর্ডিংয়েও তাঁর ছবি ঢাকাই থাকবে। একই ঘটনা ঘটছে তামিলনাড়ুর জয়ললিতা বা অসমের তরুণ গগৈয়ের ক্ষেত্রেও। এই দুই রাজ্যেও ভোটের আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মতো এই দু’রাজ্যও সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা পর্যালোচনার আবেদন জানিয়েছিল।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তুলেছিল, যখন মূল মামলার শুনানি চলছিল, তখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোথায় ছিল? স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কমনকজের তরফে প্রশান্ত ভূষণ জনস্বার্থের মামলা করে অভিযোগ তুলেছিলেন, আমজনতার করের টাকায় সরকারি বিজ্ঞাপন দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলা হয়। শুনানির সময় সব রাজ্যের মতামত চাওয়া হয়েছিল। সব রাজ্যকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বিহার ছাড়া আর কোনও রাজ্য হাজির হয়নি।

রাজ্যের পাশে দাঁড়িয়ে অবশ্য কেন্দ্রের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহাতগি সওয়াল করেন, প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করতে দেওয়া হলে মুখ্যমন্ত্রীর ছবিও ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত। শুধু প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহারে ব্যক্তিপুজোকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। তা গণতন্ত্রের বিরোধী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন