২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ কি সাবালক গণতন্ত্রের পরিচয় দেবে?

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে এই বার। এক পক্ষের জয়, অন্য পক্ষের পরাজয় এটাই অবধারিত ছিল। এ বারের ভোটের বড় প্রাপ্তি অন্য একটা জায়গায়। ভূতেদের দূর হটিয়ে এ বারের চূড়ান্ত ভাগ্য নিয়ন্তা মানুষই।

Advertisement

অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৬ ০০:২৪
Share:

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে এই বার। এক পক্ষের জয়, অন্য পক্ষের পরাজয় এটাই অবধারিত ছিল। এ বারের ভোটের বড় প্রাপ্তি অন্য একটা জায়গায়। ভূতেদের দূর হটিয়ে এ বারের চূড়ান্ত ভাগ্য নিয়ন্তা মানুষই। কে আসবে সরকারে সেটা স্থির করে দিচ্ছেন মানুষ, গণতন্ত্রে এর চেয়ে কাঙ্ক্ষিত স্থিতি আর কিছু হতে পারে না।

Advertisement

এর পরেও গণতন্ত্রের একটা বড় দায় থাকে। ভোট-পরবর্তী সময়ে বদলা এবং হিংসার পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয় সেটা দেখার দায়িত্ব থাকবে নতুন শাসকের উপরেই। রাষ্ট্রকেও নিশ্চিত করতে হবে, এই গণতন্ত্রের মূল শক্তি যেন সুরক্ষিত থাকে। ভিন্ন মত পোষণ করার অধিকার এই গণতন্ত্রই দিয়েছে। ভোট-পরবর্তী সময়ের হিংসা যদি সেই অধিকার হরণের চেষ্টা করে তবে তা গণতন্ত্রেরই লজ্জা।

২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ কি সাবালক গণতন্ত্রের পরিচয় দেবে? আজ থেকে শুরু হোক নতুন এক অধ্যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement