গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
ড্রোন ওড়াতে পারেন? কিংবা বিমানের পাইলট হতে চাইছেন? দক্ষতা থাকলেই অনুমতি মেলে না। সরকারি নিয়ম মেনে কিছু শর্ত পূরণ করতে পারলে তবেই পাইলট হিসাবে কাজ শুরু করতে পারবেন।
ড্রোনের ক্ষেত্রে কী নিয়ম?
ড্রোন পাইলট হওয়ার জন্য প্রথমে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এ জন্য ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিসিজিএ) অনুমোদিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন। তাতে মাইক্রো ও স্মল (২ থেকে ২৫ কেজি ওজন), মিডিয়াম (২৫ থেকে ১৫০ কেজি ওজন) কিংবা স্পেসিফিক পারপাস ড্রোনস— এই চারটি বিভাগের অধীনে ড্রোন ওড়ানোর প্রশিক্ষণ নেওয়া যেতে পারে।
প্রশিক্ষণের পর:
পাঁচ থেকে ছ’দিনের প্রশিক্ষণ পর থিয়োরি এবং প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা নেওয়া হবে। ওই পরীক্ষায় পাশ করতে পারলে প্রার্থীদের স্কোর ডিজিটাল স্কাই নামক পোর্টালে পাঠানো হবে। এর পর দশ বছর পর্যন্ত বৈধ থাকবে, এমন লাইসেন্স প্রার্থীকে দেবে ডিসিজিএ। ওই রিমোট পাইলট লাইসেন্স-এর সাহায্যেই যে কোনও সংস্থায় ড্রোন পাইলট হিসাবে চাকরির সুযোগ পাওয়া যাবে।
বিমানের জন্য নিয়ম:
বাণিজ্যিক প্লেনের পাইলট-এর লাইসেন্সে পাওয়ার জন্য দ্বাদশের পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যা এবং ম্যাথমেটিক্স বিষয়ে ভাল নম্বর থাকা চাই। বয়স ১৭ বছরের বেশি হতে হবে। এর পর তাঁদের ডিসিজিএ অনুমোদিত ফ্লাইং ট্রেনিং অর্গানাইজ়েশনে ভর্তি হতে হবে। সেখানে প্রশিক্ষণের পর লাইসেন্স মিলবে উড়ানের।
কী কী বিষয়ে দক্ষ হতেই হবে?
অনুমোদন পেতে চাইলে অন্তত ২০০ ঘণ্টার উড়ান অভিজ্ঞতা (ফ্লাইং আওয়ার) থাকা প্রয়োজন। এতে সোলো ফ্লাইং, ক্রস কান্ট্রি ফ্লাইং, স্টিমুলেটর ট্রেনিং, নাইট ফ্লাইং-এর প্রশিক্ষণ থাকা প্রয়োজন। এ ছাড়াও পাইলট জরুরি পরিস্থিতিতে কেমন ভাবে পরিস্থিতি সামলাতে পারছেন, রেডিয়ো কমিউনিকেশনে তিনি কতটা দক্ষ— এই সমস্ত কিছুই যাচাই করে নেওয়া হবে অনুমোদন দেওয়ার আগে। তবে কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স-এর বৈধতা পাঁচ বছর পর্যন্তই থাকে।
উভয় ক্ষেত্রেই লাইসেন্স নির্দিষ্ট সময় পরে পুনর্নবিকরণ করা প্রয়োজন। চাকরি কিংবা ব্যবসার ক্ষেত্রে ওই লাইসেন্স কী ভাবে ব্যবহার করতে হবে তা বিভিন্ন সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী জেনে নিতে হবে।