Entertainment News

বাংলাদেশে মীরা-কৃষ্ণ-আকবর, অস্থির সময়ে ফিরে দেখা প্রেমের ইতিহাস

ইতিহাস মিশছে আজকের ভাবনায়। খোঁজ দিচ্ছেন স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়‘‘ধর্ম নিয়ে বিভেদ সৃষ্টি করা সমাজের কাছে আমি তুলে ধরতে চাই সেই বাস্তব কাহিনি যেখানে বিশাল মহলের রানি মীরা কৃষ্ণপ্রেমে যোগিনী হল। এমন গান লিখলেন তিনি যা আকবরকে মোহিত করল।’’

Advertisement
শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৯ ১৪:১৯
Share:

চলছে প্রস্তুতি।

অস্থির সময়ের সামনে দাঁড়িয়ে আমাদের দেশ। যেখানে মানুষের খাদ্যাভ্যাস থেকে জেন্ডার, সব বিষয়ের উপর নানা অভিযোগ আর আক্রমণ চলছে। এই পরিস্থিতিতে মীরাকে নিয়ে কাজ করছেন সুকল্যাণ ভট্টাচার্য।
কেন মীরা?
‘‘ধর্ম নিয়ে বিভেদ সৃষ্টি করা সমাজের কাছে আমি তুলে ধরতে চাই সেই বাস্তব কাহিনি যেখানে বিশাল মহলের রানি মীরা কৃষ্ণপ্রেমে যোগিনী হল। এমন গান লিখলেন তিনি যা আকবরকে মোহিত করল।’’
বাংলাদেশের ‘নৃত্যাঞ্চল’ আর কলকাতার ‘সুকল্যাণ অ্যাকাডেমি’র যৌথ প্রয়াসে ঢাকায় প্রথম ‘মীরা’-র প্রকাশ।
দু’জন নারীকে ভয়ানক পাগল করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। একজন বাংলার রাধা। অন্যজন রাজস্থানের মীরাবাঈ। মীরার জন্ম ভারতবর্ষের রাজস্থানের এক প্রভাবশালী গোত্রে।এই দুই নারীর প্রেম নিয়ে সুকল্যাণ ভট্টাচার্য নির্মাণ করেছেন নতুন ভাবনা। ‘মীরা’ আসলে মাল্টিমিডিয়া স্টোরি টেলিং-এর অধ্যায়।’’বললেন সুকল্যাণ।

Advertisement

আরও পড়ুন, বোল্ড লুকে সুহানা, ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়

মীরাবাঈয়ের অন্যতম পরিচয় একজন মরমী কবি হিসেবে,কিংবা একজন কৃষ্ণভক্ত উন্মাদিনী রূপে। শ্রীকৃষ্ণকে উদ্দেশ করে প্রায় পাঁচ হাজার ভক্তিগীতি লিখেছেন মীরাবাঈ। আজও ভারতের পথে-প্রান্তরে কৃষ্ণভক্তের কণ্ঠে শোনা যায় সে সব আশ্চর্য গান।
ইতিহাসকে টেনে আনছেন শাস্ত্রীয় নৃত্যধারায়। গান গেয়েছেন অণ্বেষা। ‘‘সঞ্জয় লীলা ভনশালীর সাহায্য পেয়েছি আমরা এই উপস্থাপনার জন্য। তিনি তাঁর ছবির গান ‘লাল ইস্ক’-এর কিছু অংশ ব্যবহার করতে দিয়েছেন আমাদের,’’বললেন সুকল্যাণ।
ইতিহাস বর্তমানের সামনে উজ্জ্বল হয়ে ফিরছে এই ভাবনায়। কংস থেকে শুরু করে আকবর, একটা বড় সময়ের মধ্য দিয়ে কৃষ্ণ রাধা আর মীরার না পাওয়া প্রেমের মর্মরধ্বনি বেজে উঠবে সুকল্যাণের ভাবনায়।

Advertisement

আরও পড়ুন, ‘আমাকে যতটা সেক্সি দেখতে চান, এ বার ততটাই পাবেন’

রাধার জীবন গাঁথতে গিয়ে কিছু বিষয়কে তুলে ধরছেন সুকল্যাণ। দীনেশচন্দ্র সেনের পদাবলী মাধুর্যে দেখা যায়:
‘রাধা যত দুঃখ পাইতেন, যত দূরেই যাইতেন, কৃষ্ণের মুখখানি মনে পড়িলে তাঁহার সমস্ত কষ্ট দূর হইত,
যথা তথা যাই, আমি যত দূর চাই,
চাঁদ মুখের মধুর হাসে তিলেকে ‍জুড়াই।
ননদি ও শাশুড়ির গঞ্জনা, প্রতিবাসীর বিদ্রুপ—এ সমস্তই সে চাঁদমুখ মনে পড়িলে তিনি আনন্দে সহিতেন। কিন্তু কানু যদি তাঁহার উপর বিরূপ হন, তবে তিনি কি করিবেন? রাধা বলিতেছেন—
বঁধু, তুমি যদি মোরে নিদারুণ হও,
মরিব তোমার আগে, দাঁড়াইয়া রও।’
এমনই এক রাধা মূর্ত হয়েছে শংকর তালুকদারের লেখনে।কৃষ্ণর চরিত্রে কাজ করতে গিয়ে সুকল্যাণ বলছেন,‘‘কৃষ্ণ ময়ূরের পালক পরা সাজগোজ করা কোনও বিশেষ ব্যক্তি নয়। কৃষ্ণ যদি চাঁদ হয় রাধা তাঁর জোৎস্না। আর কৃষ্ণ যদি সুর হয় মীরা সেই সুরের প্রকাশ।’’
সংঘাত আর হানাহানির রাজনীতির বাইরে প্রেম আর সুর ভুলিয়ে দেবে কাঁটাতারের যন্ত্রণাকে!

(হলিউড, বলিউড বা টলিউড - টিনসেল টাউনের টাটকা বাংলা খবর পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদনের সব খবর বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন