সানি জবাব

কুৎসা, অপমান, সেক্স কমেডি পেরিয়ে শাহরুখের ছবিতে। সোজাসাপ্টা সানি লিওনে। ফোনে অরিজিৎ চক্রবর্তীকুৎসা, অপমান, সেক্স কমেডি পেরিয়ে শাহরুখের ছবিতে। সোজাসাপ্টা সানি লিওনে। ফোনে অরিজিৎ চক্রবর্তী

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৬ ০০:৫১
Share:

প্রায় সব পুরুষের স্বপ্নেই তো আপনি। আপনার স্বপ্নে...

Advertisement

হুমমম... শাহিদ কপূর...

Advertisement

আচ্ছা, আপনার বলিউডে আসার পর থেকে তো মল্লিকা শেরাওয়াত, রাখি সওয়ন্ত, মালাইকা খানের ছুটি হয়ে গিয়েছে?

(হেসে) আমি এটাকে কমপ্লিমেন্ট হিসেবেই নিচ্ছি। কারও কাজ বন্ধ হয়েছে কি না জানি না। তবে, আমি যদি পরপর ছবিতে সুযোগ পাই, তার মানে তো লোক আমাকে চাইছে। এটা তো ডিমান্ড অ্যান্ড সাপ্লাইয়ের যুগ। এই জায়গা তো আমাকে কেউ ছেড়ে দেয়নি। আমি নিজে বানিয়েছি।

পর্নস্টার, বলিউড হিরোইন, লেখিকা — এ রকম সিভি তো চট করে দেখা যায় না!

প্রথমটার আগে একটা ‘এক্স’ বসবে। এক্স-পর্নস্টার।

তা হলে আপনার প্রথম পেশা নিয়ে কথা বলতে অসুবিধা নেই। আসলে, কয়েকটা ইন্টারভিউ দেখে মনে হচ্ছিল...

(থামিয়ে দিয়ে) না, কথা বলতে তো কোনও অসুবিধা নেই। তবে কোন প্রশ্নের উত্তর দেব সেটা আমার মর্জি।

অবশ্যই। আচ্ছা, প্রথমে বলুন অপমানগুলো সহ্য করছিলেন কী করে?

দেখুন, সব প্রোফেশনেই নতুন আসা লোকজনের উপর একটু আধটু র‌্যাগিং চলে। সেটা আমার উপরও হয়েছিল।

একটু আধটু র‌্যাগিং!

হ্যাঁ, আমি সে ভাবেই দেখি। কী হচ্ছিল বলুন, সব ক’টা ইন্টারভিউতে আমার আগের পেশার প্রসঙ্গ টেনে বাজে বাজে প্রশ্ন করা... অনেকের মুখ দিয়ে বলানো যে পর্নস্টার বলে বলিউডের বড় স্টাররা আমার সঙ্গে কাজ করতে চান না... সোশ্যাল মিডিয়ায় অবিরত ট্রোল... এই তো! প্রথম প্রথম রেগে যেতাম। অনেক ইন্টারভিউ থেকে উঠে বেরিয়ে গিয়েছি। পরে বুঝেছি, আরে, এরা তো এটাই চায় যে, আমি মাথা গরম করি। শেষ কয়েক বছর দেখুন, অনেক বদলে গেছি। মাথা গরম করি না। ইন্টারভিউ থেকেও উঠে যাই না। আমার তো মনে হয়, কোনও পেশাতে ঢোকা সহজ, সেখানে টিকে থাকা কঠিন। মেজাজ শান্ত রাখতে হবে। কেউ উত্ত্যক্ত করলেও নিজের ‘কুল’ হারালে চলবে না। আমি সেটাই করেছি। তবে আর একটা কথা বলব, ইন্ডাস্ট্রি থেকে সাহায্যও পেয়েছি। মহেশজি (ভট্ট) তো ছিলেনই। আমির (খান)ও সাহায্য করেছিলেন...

আর এ বার তো আরও বড় ব্রেক। শাহরুখ খানের সঙ্গে...

ওহ্, সে আর বলতে! সোনার সুযোগ। ‘রইস’‌য়ের জন্য যখন আমাকে ফোন করা হয় আমি তো ভেবেছিলাম রং নম্বর। শাহরুখ খান ছবির জন্য আমার কথা ভেবেছে! আমি তো সিট থেকে পড়েই যাচ্ছিলাম। তারপর যখন প্রথম দিন দেখা হল, আমি তো কথাই বলতে পারছিলাম না। আমি শাহরুখের সামনে দাঁড়িয়ে আছি, এটা ভেবেই আমার পা কাঁপছিল।

শাহরুখের সঙ্গে কাজ করা মানে তো বলিউডের বিগ লিগে ঢুকে পড়া...

সে তো বটেই। ওঁর মতো একজন স্টার যখন বলেন গানটার কথা শুনে আমার নামটাই প্রথম মাথায় এসেছে, এটা সত্যিই বিরাট বড় পাওনা। এর পরে নিশ্চয় আর এ রকম প্রশ্ন শুনতে হবে না যে, প্রথম সারির অভিনেতারা আমার সঙ্গে কাজ করতে চান না আমার অতীতের জন্য।

কিন্তু চার বছরের বেশি হয়ে গেল বলিউডে। আপনার ‘এক পহেলি লীলা’ বলুন কী ‘ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড’ — সবই তো সেক্স কমেডি। এতে আপনি নিজে খুশি?

(একটু ভেবে) সত্যি বলতে খুশি নই। কিন্তু এখনও তো আমি বলিউডে সে জায়গাটা করে উঠতে পারিনি যে, আমার পছন্দ-অপছন্দ দাবি করতে পারব। অন্য প্রোফেশনেই দেখুন না, ক’জন লোক নিজের পছন্দ-অপছন্দের কথা বলতে পারেন! সারাটা জীবন কেটে যায় অপছন্দের কাজ করতে করতে। আমার তো তবু মাত্র চার বছর হয়েছে। আমি তো চাই, সঞ্জয় লীলা বনশালির ছবিতে কাজ করতে। কিন্তু এটা পড়ে হয়তো লোক হাসবে। আসলে সকলের সম্বন্ধেই লোকের একটা প্রি-কনসিভড ধারণা থাকে। সেটা বদলাতে সময় লাগে।


‘ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড’

আপনি নিজে কি সেটা বদলানোর চেষ্টা করছেন? গল্পগুলোও তো চেনা ছকের — সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসি...

দেখুন, অভিনয়ের জন্য আমি কিন্তু খাটছি। অ্যাক্টিং ক্লাস করছি। ইন্ডিয়ান ক্লাসিক্যাল নাচ শিখছি। হিন্দি শেখার জন্য লোক রেখেছি (কথাটা সত্যি, এই সাক্ষাৎকারেও অনেক কথা হিন্দিতে বলছিলেন সানি)। আর খাটছি যে তার প্রমাণ তো ‘রইস’‌য়ের শ্যুট। আমার শটে কিন্তু তিন-চারটের বেশি টেক নিতে হয়নি। সেটা যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন (হাসি)। তবে আমার না একটা দোষ আছে। স্বভাবে আমি বেশ লাজুক। লোকের সঙ্গে আগ বাড়িয়ে কথা বলতে পারি না। এটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে চলে না। এখন এক্সট্রোভার্ট হওয়ার ট্রেনিংটা নিতে হবে।

পরের স্টেপটা কী?

ছবির পরিচালনা। গল্পও ঠিক করে ফেলেছি। এখনই বলছি না। জন্মদিন কাটাতে আমেরিকা যাচ্ছি। ফিরে এসে জানাব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন