হলিউডের দীর্ঘ ইতিহাস কি মুছে যাবে তাঁর মস্তিষ্কের মেমোরি সেলগুলো নিভে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে? আশঙ্কা তা-ই বলছে। ৮৩ বছরের হলিউড-কিংবদন্তি ওমর শরিফ এই মুহূর্তে অ্যালজাইমার-আক্রান্ত। এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর এজেন্ট স্টিভেন কেনিস।
“ওঁর অবস্থা এই মুহূর্তে ঠিক কী রকম, সেটা আমি সঠিক জানি না। ওটা ডাক্তাররাই বলতে পারবেন। তবে দিন দিন অবস্থা যে খারাপের দিকেই যাচ্ছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই”, বলছেন কেনিস।
কেনিসের কথা মিথ্যে নয়। রাস্তায় বেরিয়ে ভক্তদের সঙ্গে যখন ইদানীং দেখা হয় নায়কের আর তারা যখন সই চায়, তখন অবাক হয়ে তাদের দিকে তাকিয়ে থাকেন তিনি। বুঝতে পারেন না কেন তারা সই চাইছে! তাঁকে দেখে মনে হয়, এ যেন অন্য কেউ! দুনিয়া কাঁপিয়ে রুপোলি পর্দায় অভিনয় হয়তো বা তার পূর্বজন্মের কথা! এমনকী, প্রিয় বন্ধুদের নামও আজকাল আর মনে রাখতে পারছেন না নায়ক।
‘ডক্টর জিভাগো’, ‘লরেন্স অফ অ্যারাবিয়া’, ‘ম্যাকানাস গোল্ড’— আরও অসংখ্য হলিউড ব্লকবাস্টারে অভিনয় করেছেন মিশরীয় বংশোদ্ভূত শরিফ। সহ-অভিনেতা হিসেবে পেয়েছেন গ্রেগরি পেক থেকে শুরু করে বারবারা স্ট্রেইস্যান্ডের মতো ব্যক্তিত্বকে। হলিউডের বহু উত্থান-পতনের সাক্ষী তিনি। তাঁর স্মৃতিভ্রংশের আর একটা মানে সেই ইতিহাসের অনেকটাই লুপ্ত হয়ে যাওয়া। অসুস্থ শরিফের দেখাশোনা করছেন তাঁর ছেলে তারেক শরিফ।
ভক্তরা আর কাছের মানুষেরা চিন্তায় থাকলেও কিংবদন্তি অভিনেতা অবশ্য এখনও তাঁর অসুখটা নিয়ে সজাগ নন। “বাবা কিছুতেই বুঝতে চাইছেন না যে তিনি অ্যালজাইমারে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে যে এক্সারসাইজগুলো দরকার, তার একটাও মেনে চলছেন না তিনি”, বলছেন তারেক শরিফ।