বিপদে পড়েন ফাতিমা। ছবি: সংগৃহীত।
বিমানযাত্রার সময় বিপদে পড়েছিলেন ফাতিমা সানা শেখ। হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। পরিস্থিতি সামাল দিতে তাঁকে কড়া ডোজ়ের ওষুধ দেওয়া হয়েছিল বলে জানান ফাতিমা।
ঠিক কী ঘটেছিল? ফাতিমা জানান, বিমানযাত্রার সময়ে হঠাৎই মৃগী আক্রান্ত হয়ে পড়েন। পর পর খিঁচুনি উঠতে থাকে তাঁর। তড়িঘড়ি বিমানেই চিকিৎসা শুরু হয়। ফাতিমা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “সেটা একটা অধ্যায় ছিল, আমার খুব খিঁচুনি উঠত। এক বার আমেরিকা যাচ্ছিলাম আমি। দুবাই হয়ে আমেরিকা পৌঁছচ্ছিল বিমান। তাই দুবাই বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলাম। হঠাৎই খিঁচুনি শুরু হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আমাকে বিমানবন্দরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।”
ওষুধ দেওয়ার পরেও খিঁচুনি কমছিল না ফাতিমার। অবশেষে পরিস্থিতি সামাল দিতে অভিনেত্রীকে অতিরিক্ত কড়া ডোজ়ের ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। ফাতিমা বলেছেন, “কিছু একটা রাসায়নিক দেওয়া হয়েছিল আমাকে। তার আগেও একটা ওষুধ আমি খেয়েছিলাম।” এতেই আরও বিপদে পড়েন ফাতিমা।
মৃগীতে একটা ওষুধের প্রতিক্রিয়া কমে যাওয়ার পরে পরের ওষুধটি দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু পর পর দুটি ওষুধ পর পর খাওয়ার কারণে ফাতিমার শরীরে অন্য রকম প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন তিনি। শুটিং পর্যন্ত বাতিল করতে হয়েছিল তাঁকে।
সেই সময়ে ‘সাম বাহাদুর’ ও ‘ধক ধক’ ছবির শুটিং করছিলেন অভিনেত্রী। ফাতিমা বলেন,“আমাকে শুটিং বাতিল করতে হয়েছিল। একজন ফোন করে আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, আমি শুটিং করতে পারব কি না। আমি কাঁদতে শুরু করে দিই, কারণ বিছানা ছেড়ে ওঠার মতো অবস্থাও ছিল না আমার। আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছিলাম। খুব ভেঙে পড়েছিলাম।”
ফাতিমা জানান, ওষুধ খাওয়া এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার জন্যই এই ঘটনা তিনি সামনে এনেছেন। অভিনেত্রীকে শীঘ্রই ‘মেট্রো ইন দিনো’ ছবিতে দেখা যাবে।