প্রথম জামাইষষ্ঠীতে কী পরিকল্পনা শার্লি-অভিষেকের? ছবি: সংগৃহীত।
এপ্রিলের শেষে চার হাত এক হয়েছে। সবাইকে চমকে দিয়ে নিজেদের বিয়ের কথা ঘোষণা করেন অভিনেতা অভিষেক বসু এবং শার্লি মোদক। ‘ফুলকি’ ধারাবাহিকের অভিনয়ের মাধ্যমেই তাঁদের আলাপ। গল্পে নায়ক অভিষেক। আর খলনায়িকা শার্লি। পর্দায় যতই সাপে-নেউলে সম্পর্ক হোক না কেন তাঁরা, বাস্তবে বুঁদ হয়ে রয়েছেন প্রেমে। ২৯ এপ্রিল চিত্রনাট্য বদলে জীবনের গল্প নিজেই লিখলেন তাঁরা। আপাতত চুটিয়ে সংসার করছেন। সে কথা শার্লি নিজেই জানিয়ে ছিলেন আনন্দবাজার ডট কমকে। খুব বেশি আলাদা কিছু মনে হচ্ছে না। নতুন মা-বাবা পেয়েছেন তিনি। ফলে বেশ খুশি। ১ জুন জামাইষষ্ঠী। বিয়ের পর এই প্রথম। এই দিনটির জন্য কী পরিকল্পনা করে রেখেছেন? শার্লি আনন্দবাজার ডট কমকে বললেন, “না, সত্যিই কিছু হবে না এ বছর। আসলে মা-বাবা দু’জনেই শহর থেকে দূরে থাকেন। সুতরাং সে রকম কোনও পরিকল্পনা নেই। আর শুটিং থেকেও তো ছুটি পাওয়া বেশ মুশকিল। তবে শেষ মুহূর্তে যদি কিছু পরিকল্পনা হয়ে যায় তখন কী হবে জানি না।”
কিছু দিন আগেই পাহাড়ে মধুচন্দ্রিমা সেরে ফিরেছেন যুগলে। অভিষেকের সঙ্গে নতুন সংসার যে ভালই জমেছে তা অভিনেত্রীর কথাতেই স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে। বিয়ে প্রসঙ্গে আনন্দবাজার ডট কমকে শার্লি বলেছিলেন, “অনেক বছর হল মা-বাবার থেকে দূরে থাকি। এত দিন একা থাকতাম। এখন একটা সঙ্গী পেয়েছি। ভালই লাগছে।” বিয়ের পর কাশ্মীর যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কিন্তু পহেলগাঁও কাণ্ডের জন্য সবটাই মাটি।১৪ ঘণ্টা শুটিংয়ের ফাঁকে এমনিতে তাঁদের ছুটি পাওয়া মুশকিল। তাই বিয়ের ছুটিতেই যতটা আনন্দ করা যায় সবটা করেছেন তাঁরা। অভিনেত্রী বললেন, “বিয়ের উপরি পাওনা হল আমি নতুন মা-বাবা পেয়েছি। আগে একা একা বাড়ির সব কাজ করতাম। এখন সেই সঙ্গী রয়েছে।” মধুচন্দ্রিমা থেকে ফিরে ‘ফুলকি’ ধারাবাহিকের শুটিং শুরু করেছেন দু’জনেই।