বিতর্কে জড়িয়েছিল মুক্তির আগেই। মুক্তির পরেও পিছু ছাড়ছে না বিতর্ক।
মুক্তির আগে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন পাক অভিনেতা ফাওয়াদ খান। আর মুক্তির পরে গায়ক মহম্মদ রফি।
এক কথায় মুশকিল পিছু ছাড়ছে না ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’-এর।
পরিচালক কর্ণ জোহরের এই ছবিতে রফিকে অপমান করা হয়েছে, এ বার এই অভিযোগ তুলে জনতার কাছে ছবিটিকে ‘বয়কট’ করার আবেদন জানালেন গোয়ায় ডিজিপি মুক্তেশ চান্দের।
কর্ণের এই নতুন ছবিতে আয়ান নামে এক জন গায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রণবীর কপূর। এক জায়গায় তিনি আলিজান চরিত্রে অভিনয় করা অনুষ্কা শর্মাকে বলছেন, ‘‘লোকে বলে আমার গলা মহম্মদ রফির মতো।’’ এর পরেই আলিজানকে বলতে শোনা যায়, ‘‘মহম্মদ রফি? যিনি গাইতেন কম, কাঁদতেন বেশি, তাই না?’’ ছবির এই সংলাপের জন্য গত কালই কর্ণের কড়া সমালোচনা করেছেন রফির ছেলে শাহিদ রফি। গায়ক পুত্রের দাবি, ‘‘জনসমক্ষে ক্ষমা চান কর্ণ।’’ ছবি থেকে এই দৃশ্যটি বাদ দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
এ বার এই সংলাপের বিরুদ্ধে ময়দানে নামলেন রফি-ভক্ত মুক্তেশ। ১৯৮৮ ব্যাচের এই আইপিএস টুইট করেছেন, ‘‘মহম্মদ রফি ভারতের এক জন মহান গায়ক। কারওর কাছ থেকে তাঁর কোনও শংসাপত্রের দরকার নেই। আপনি যদি এক জন রফি-ভক্ত হন, তা হলে এই ছবিটি বয়কট করুন।’’ তবে এ দিন বহু চেষ্টা করেও মুক্তেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, একটি বৈঠকে যোগ দিতে মুক্তেশ এখন দিল্লিতে।
পাক অভিনেতা ফাওয়াদ খান থাকার জন্য এই ‘অ্যায় দিল...’ ঘিরে বিতর্ক প্রথম থেকেই। মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস) হুমকি দিয়েছিল, এই ছবিটিকে ‘রিলিজ’ করতে দেওয়া হবে না। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের মধ্যস্থতায় এমএনএস প্রধান রাজ ঠাকরে এবং কর্ণের বৈঠকে জটিলতা কাটে। যদিও সেই বৈঠক ঘিরেও বিস্তর জলঘোলা হয়। অভিযোগ ওঠে, রাজকে ‘মুক্তিপণ’ দিয়ে মুশকিলে ইতি টেনেছেন পরিচালক।
এখন দেখা যাচ্ছে, মুক্তির পরেও ইতি পড়েনি মুশকিলে।