তৃষাণজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের আগে আর্যা রায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নায়িকা। ছবি: সংগৃহীত।
নিশ্চুপে একের পর এক কাজ করে যাচ্ছেন। ভেবেছিলেন, কেউ বুঝি টের পাবে না! তেমনটা হল কই? টলিপাড়ায় খবর, দেবালয় ভট্টাচার্যের ‘ভুগুন’ ছবির নায়িকা আর্যা রায় নাকি তৃষাণজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বাঁধতে চলেছেন! এসভিএফ প্রযোজনা সংস্থার আদ্যন্ত প্রেমের ছবির নায়ক-নায়িকা তাঁরাই।
সবিস্তার জানতে আনন্দবাজার ডট কম যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল তাঁর সঙ্গে। নায়িকার ফোন বন্ধ।
আর্যার প্রথম কাজ পরিচালক অভিরূপ ঘোষের সঙ্গে। প্রেমের ছবি ‘পাগল প্রেমী’ দিয়ে বড়পর্দায় পা রাখার কথা ছিল তাঁর। বিপরীতে আদৃত রায়। এই ছবিরও প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা-মহেন্দ্র সোনি। গুঞ্জন, নায়কের সঙ্গে প্রযোজকের সমস্যা তৈরি হওয়ায় সেই ছবির কিছু কাজ এখনও বাকি। এর পরেই তিনি দেবালয়ের ছবিতে নির্বাচিত হন।
২৯টি হিন্দি ছবির পর ‘ভুগুন’ দিয়ে বাংলা ছবিতে কাজ শুরু ‘হথৌড়া ত্যাগী’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই সময় পরিচালক আনন্দবাজার ডট কম-কে জানিয়েছিলেন, তাঁর আগের ছবি ‘শ্রী স্বপনকুমারের বাদামী হায়নার কবলে’ ‘পাল্প’ ঘরানার। ‘ভুগুন’ ছবিটিতে ‘স্ল্যাশার’ ঘরানার বৈশিষ্ট্য দেখা যাবে। এই বিশেষ ঘরানায় ছবির শেষে এক বা একাধিক ব্যক্তি একের পর এক খুন করতে থাকে। এর সাম্প্রতিকতম উদাহরণ ‘অ্যানিম্যাল’। দেবালয়ের ছবির কাহিনিও নাকি সেই ধারার। শোনা যাচ্ছে, ছবিতে আর্যাও অভিষেকের মতো অপরাধদুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত। প্রচুর অ্যাকশন করতে দেখা যাবে তাঁকে। পাশাপাশি, অভিষেকের সঙ্গে প্রেমের দৃশ্যও করেছেন। ছবি মুক্তি পাবে আগামী বছরে।
অভিষেক এবং আর্যা দু’জনেই খড়্গপুরের বাসিন্দা। একই পাড়ায় বড় হয়েছেন তাঁরা। দু’জনেই বর্তমানে মুম্বইবাসী। বরাবর কলকাতার বাইরে থাকার কারণে দুই অভিনেতারই নাকি বাংলা উচ্চারণেও সমস্যা রয়েছে। বাংলা ছবিতে অভিনয়ের আগে তাই নিজের উচ্চারণ নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ছিলেন অভিষেক। সেটে এসে দেখেন আর্যারও তথৈবচ অবস্থা! তখন নাকি তিনি স্বস্তির শ্বাস ফেলে জানিয়েছিলেন, অবশেষে ‘দোসর’ পেলেন!
সম্প্রতি, দেবালয়ের ছবির শুটিং শেষ হয়েছে। ডাবিং–সহ বাকি কাজ চলছে। আর্যা ব্যস্ত তাঁর পরের ছবি নিয়ে। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে তৃষাণজিৎ বাবার মতোই রোমান্টিক ছবিতে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন। ছবির গল্পে থাকবে ‘সইয়ারা’র ছায়া। আপাতত চিত্রনাট্যের ঘষামাজা চলছে। সব ঠিক থাকলে নতুন বছরে ছবির শুটিং শুরু হতে পারে। অভিষেকের যেমন ‘পাড়ার মেয়ে’, তেমনই তৃষাণজিতের ‘অন্যতম বন্ধু’ আর্যা। এই ছবির জন্য দু’জনেই অনুপম খেরের প্রতিষ্ঠান থেকে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
চমকের আরও বাকি। আর্যা যেমন বড়পর্দার নায়িকা, পাশাপাশি ছবি-সিরিজ়ের কাহিনিকারও। তাঁর লেখা ‘আমি ডাকিনি’ ধারাবাহিক জাতীয় স্তরের চ্যানেলে দেখানো হয়েছে। ১৭ অক্টোবর মুক্তি পাবে হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্মের ভৌতিক সিরিজ় ‘নিশির ডাক’। তারও কাহিনিকার তিনি। খবর, তৃষাণজিতের ছবির চিত্রনাট্য ঘষামাজায় নায়িকাও নাকি যথেষ্ট সহযোগিতা করছেন।