ইনস্টাগ্রামে প্রায় ৯৫ লক্ষ অনুরাগী ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের। তবে ঐশ্বর্যা এক জনকেই ‘ফলো’ করেন। এই ‘এক জন’ স্বামী অভিষেক বচ্চন।
বচ্চনদের বর্ধিত পরিবারের তারকার সংখ্যা নিছক কম নয়। বিগ বি-র কন্যা শ্বেতা বচ্চন নন্দা এবং নাতনি নব্যা নভেলি নন্দাও নেটমাধ্যমে পরিচিত মুখ। প্রত্যেকেরই ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট আছে ইনস্টাগ্রামে। শুধু ন’বছরের আরাধ্যা এবং জয়া বচ্চন ছাড়া। তবে অভিষেক ছাড়া এঁদের মধ্যে কেউই ঐশ্বর্যার ‘অনুসরণ’ তালিকায় নেই। ঐশ্বর্যার আদরের ‘পা’ অমিতাভ বচ্চনও না।
নেটমাধ্যমে বচ্চন পরিবারের প্রত্যেকের থেকেই বেশি সক্রিয় অমিতাভ। তাঁর অনুগামী সংখ্যা ঐশ্বর্যার প্রায় তিন গুণ। ইনস্টাগ্রামে বিগ বি-কে ফলো করেন পৌনে তিন কোটি অনুরাগী।
বিগ বি’র নিজস্ব অনুসরণ তালিকাও বেশ ছোট। তবে ঐশ্বর্যার মতো নয়। ইনস্টায় তিনি ফলো করেন ৬৯ জনকে। এঁদের মধ্যে ঐশ্বর্যার প্রাক্তন প্রেমিক সলমন খানও আছেন। রয়েছেন শ্রদ্ধা কপূর, সারা আলি খানের মতো অভিনেতারা। তালিকায় ঐশ্বর্যার সমসাময়িক অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, ক্যাটরিনা কাইফ, অনুষ্কা শর্মারাও আছেন।
তবে ঐশ্বর্যা, যিনি এক জন আন্তর্জাতিক তারকাও বটে, তাঁকে ফলো করেন না অমিতাভ।
এমন নয় যে পরিবারের কোনও সদস্যই অমিতাভের অনুসরণ তালিকায় নেই। ছেলে অভিষেক, কন্যা শ্বেতা, নাতনি নব্যাকে ফলো করেন বিগ বি।
বচ্চনদের এই নেটমাধ্যম-আচরণে ‘জলসা’র ঠান্ডা যুদ্ধ নিয়ে চর্চা আবারও মাথা চাড়া দিয়েছে।
জয়ার সঙ্গে ঐশ্বর্যার দ্বন্দ্ব বহু আলোচিত। যদিও বিষয়টি দু’জনের কেউই প্রকাশ্যে আসতে দেননি কোনও দিন। বরং ক্যামেরার সামনে বরাবর একে অপরের প্রশংসাই করেছেন বলিউডের এই চর্চিত শ্বাশুড়ী-বউমা জুটি।
বিগ বি কন্যা শ্বেতার সঙ্গে ঐশ্বর্যার সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তার কারণ অবশ্য বলিউডের বেশ কিছু অনুষ্ঠানে ঐশ্বর্যার প্রতি শ্বেতার আচরণ। দু’জনেই আমন্ত্রিত ছিলেন, এমন মঞ্চে সবার সামনেই ভ্রাতৃজায়াকে বারবার এড়িয়ে যেতে দেখা গিয়েছে শ্বেতাকে। এমনও হয়েছে, ঐশ্বর্যাকে দেখেও না দেখার ভান করে চলে গিয়েছেন শ্বেতা।
অমিতাভের সঙ্গে ঐশ্বর্যার সম্পর্ক অবশ্য বরাবর ভাল ছিল বলেই শোনা গিয়েছে। এমনকি কান চলচ্চিত্র উৎসবে ঐশ্বর্যা এবং আরাধ্যার ছবি নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করেছিলেন অমিতাভ।
ফলে প্রশ্ন উঠছে, ঐশ্বর্যাকে কি সম্প্রতি ‘আনফলো’ করেছেন বিগ বি? না কি ঐশ্বর্যা কোনও দিনই তাঁর ‘পা’-এর অনুসরণ তালিকায় ছিলেন না।
নেটাগরিকদের একাংশের বক্তব্য, পরিবারের কেউ অনুসরণ তালিকায় নেই মানেই তাঁর সঙ্গে সুসম্পর্ক নেই এমন ভাবাটা যুক্তিসঙ্গত নয়। অনেকে আবার ব্যক্তিগত উদাহরণ টেনে বলেছেন, পরিবারের বড়দের অনেক ক্ষেত্রেই আমরা নিজেদের বন্ধু তালিকায় রাখি না। তার মানে কি এই যে তাঁদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভাল নয়!
তবে বলিউডের পর্যবেক্ষকদের মত, বিষয়টা এত সহজ না-ও হতে পারে। এর মধ্যে জলসা-র জটিলতা থাকতেই পারে। হতেই পারে জয়া, শ্বেতার পর এ বার বিগ বি-র সঙ্গেও সম্পর্কের অবনতি হয়েছে ঐশ্বর্যা।
যদিও জলসার শীতলতা নিয়ে যতই চর্চা হোক, বিভিন্ন পারিবারিক অনুষ্ঠানে বরাবর দেখা গিয়েছে বচ্চন পরিবারকে হাসিমুখে একজোট হতে।
অনেকে আবার বলেছেন, এমনও হতে পারে, ঐশ্বর্যার নেটমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট তাঁর জন সংযোগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। সে ক্ষেত্রে ঐশ্বর্যা ওই অ্যাকাউন্ট থেকে কাকে ফলো করছেন, তা অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। হতে পারে ঐশ্বর্যা সত্যিই তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের সঙ্গে নেটমাধ্যমকে গুলিয়ে ফেলেন না।
তবে সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র অভিষেক বচ্চনকে অনুসরণ করার যুক্তিই বা কী, সেটা স্পষ্ট নয়।