একই বৃন্তে দু’টি বৈপরীত্য

অক্ষয় ও টুইঙ্কলের মতাদর্শের সহাবস্থান কি হিসেব কষা?

এই ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন নয়। গত কয়েক বছরে অক্ষয় ও টুইঙ্কলের মতাদর্শের ফারাক স্পষ্ট হয়ে উঠেছে তাঁদের কাজে-কথায়। তবে এই বৈপরীত্য তাঁদের সম্পর্কে নতুন আলোড়ন তৈরি করেনি। আপাত দৃষ্টিতে অন্তত তা-ই মনে হয়। 

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২০ ০০:০১
Share:

অক্ষয়-টুইঙ্কল

গত বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন অক্ষয়কুমার। সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কারণ অক্ষয় অভিনীত ছবিতে সরকারি প্রোপাগান্ডা প্রকট হয়ে উঠেছে তত দিনে। সেই ভিডিয়ো নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে টুইঙ্কল খন্না লিখেছিলেন, ‘‘এই ব্যাপারটাকে আমি সদর্থক ভাবে দেখতে চাই। প্রধানমন্ত্রী যে শুধু আমার অস্তিত্ব সম্পর্কে জানেন তা নয়। আমার লেখাও পড়েছেন...’’ ওই সাক্ষাৎকারে টুইঙ্কলের লেখা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

এই ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন নয়। গত কয়েক বছরে অক্ষয় ও টুইঙ্কলের মতাদর্শের ফারাক স্পষ্ট হয়ে উঠেছে তাঁদের কাজে-কথায়। তবে এই বৈপরীত্য তাঁদের সম্পর্কে নতুন আলোড়ন তৈরি করেনি। আপাত দৃষ্টিতে অন্তত তা-ই মনে হয়।

বলিউডে ব্র্যান্ড ইমেজের উপরে অনেক হিসেবনিকেশ নির্ভর করে। তাই কর্তা-গিন্নির কণ্ঠে বিপরীত সুর খুব একটা শোনা যায় না। তার উপরে তাঁরা জনপ্রিয় মুখ। লেখিকা, কলামিস্ট রূপে নিজেকে নতুন ভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন টুইঙ্কল। আর বছর বছর হিট দিয়ে যাচ্ছেন অক্ষয়। তবে অক্ষয়ের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে যত বেশি প্রশ্নচিহ্ন, তার চেয়ে বেশি প্রশ্ন নিজের লেখায় তোলেন মিসেস ফানিবোনস।

Advertisement

দেশজুড়ে নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি) এবং সংশোধিত নাগরিক আইন (সিএএ)-এর প্রতিবাদে গলা মিলিয়েছেন টুইঙ্কল। তিনি মোমবাতি মিছিলে হয়তো যাননি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্পষ্ট করেছেন তাঁর অবস্থান। ধর্ম, জাতপাত, বর্ণ, বিশ্বাসের ভিত্তিতে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা যে গণতন্ত্রের পরিপন্থী, তা বারে বারে বলেছেন তিনি। সম্প্রতি জেএনইউর ছাত্রদের উপরে নির্যাতনের প্রতিবাদেও টুইঙ্কল লিখেছেন, ‘‘এ দেশে এখন ছাত্রদের চেয়ে গরুর নিরাপত্তা বেশি। তবে হিংসার সাহায্যে মানুষকে চুপ করিয়ে রাখা যাবে না। আরও বেশি প্রতিবাদ, ধর্না, মিছিল হবে, আরও বেশি মানুষ পথে নামবেন...’’ এই টুইটের পাল্টা নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আপনার স্বামী কী করছেন, সেটা কি দেখেছেন?’ এবিভিপির পতাকা হাতে অক্ষয়ের ছবিও পোস্ট করা হয়েছে ওই টুইটে।

প্রতিবাদের এই আবহেও সরকার বিরোধী কোনও রকম মন্তব্য করেননি অক্ষয়। উপরন্তু জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার ছাত্রদের পেটানোর ভিডিয়ো লাইক করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন।

বৈপরীত্যের এই বিরোধহীন সহাবস্থান অনেকেরই মতে হিসেব কষা রসায়ন। আবার অনেকে ভাবেন, এটা নিখাদ বোঝাপড়া। অন্দরের কাহিনি যা-ই হোক, অক্ষয়-টুইঙ্কলের দাম্পত্যের চাবিকাঠি যে কোনও দম্পতির কাছেই ঈর্ষণীয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন