ছবির লুকে ইদা
প্রায় গোটা ফিল্ম ইউনিটই মহিলা পরিচালিত। প্রযোজনা, পরিচালনা, চিত্রনাট্য তো বটেই, ক্যামেরা থেকে আর্ট ডিরেকশন সবই নারী নিয়ন্ত্রিত। ‘‘অল উওম্যান ইউনিট বলতে যা বোঝায় আর কী,’’ হেসে বললেন শতরূপা সান্যাল। শুরু হতে চলেছে তাঁর নতুন ছবি ‘মিষ্টি’র শুটিং।
নামেই বোঝা যাচ্ছে এটা ছোটদের ছবি। বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে এই মুহূর্তে ছোটদের ছবি নিয়ে পরপর কাজ হচ্ছে। সে সব ছবি বাণিজ্যিক ভাবে সফলও হচ্ছে। ‘মিষ্টি’ আসলে ফ্যান্টাসি ড্রামা। ইচ্ছেপূরণের গল্পও বলা যায়।
একটি পরিবারের গল্প। যেখানে বাবা বিদেশে কাজ করে। মা বাড়িতে দু’টি বাচ্চা নিয়ে নাজেহাল। এ দিকে আর্থিক অবস্থাও ভাল নয়। এর মধ্যে বাড়ির ছোট্ট মেয়েটি নিজের কল্পনার জগতে বিভোর। যার ফলে অনেক বিভ্রাটের সৃষ্টি হয়। সব কিছুর মাঝেও ইচ্ছেপূরণ হয়। মাধ্যম হল গিয়ে ছ’টা রং। গল্পের ব্যাখ্যায় ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখলেন পরিচালক। ‘‘আমরা নিজেরা যতই সমস্যায় থাকি না কেন, অন্যের জন্য কিছু করতে পারলে সেটা যতটা তৃপ্তি দেয়, তার চেয়ে বেশি আনন্দ আর কিছুতে নেই,’’ বলছিলেন শতরূপা।
ছবির প্রোডাকশনের কাজে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন মেয়ে ঋতাভরীও। তাঁদের প্রযোজনা সংস্থার নাম স্কাড। ছবির যাবতীয় খুঁটিনাটি সামলান ঋতাভরী।
এই ফ্যান্টাসি ড্রামার মুখ্য ভূমিকায় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত আর ইদা। ‘সব ভুতুড়ে’র পর বিদীপ্তা চক্রবর্তী আর বিরসা দাশগুপ্তর কন্যা ইদা পরিচিত মুখ। স্কুল, পড়াশোনার ফাঁকে শুটিংয়ে অসুবিধে হবে না? ‘‘ছুটির সময়ে শুটিং হলে অসুবিধে হয় না। নয়তো মাঝেমধ্যে ছুটি নিয়ে শুট করবে। শনি-রবিগুলোয় করবে। তা ছাড়া ক্লাস টুয়ে প়়ড়ার খুব চাপ তো নেই,’’ বলছিলেন বিদীপ্তা। ছবিতে আরও অনেক কচিকাঁচা আছে। সুতরাং ছবির সেট যে ইদার কাছে পিকনিক স্পট হয়ে উঠবে, তা দিব্যি বোঝা যাচ্ছে।