‘আরও একটু সময় যদি আরাধ্যাকে দিতে পারতাম’

‘মনমর্জ়িয়া’র সাফল্যের পরে মুখোমুখি অভিষেক বচ্চন‘মনমর্জ়িয়া’র সাফল্যের পরে মুখোমুখি অভিষেক বচ্চন

Advertisement

অন্বেষা দত্ত

শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৮ ০০:০৪
Share:

অভিষেক বচ্চন

প্র: ‘মনমর্জ়িয়া’র পরে কেমন ফিডব্যাক পাচ্ছেন?

Advertisement

উ: আই অ্যাম অন টপ অব দ্য ওয়র্ল্ড! দারুণ লাগছে। মানুষের এত ভালবাসা, সেই অনুভূতিটা অসাধারণ।

প্র: বাড়ির সকলের কেমন লাগল?

Advertisement

উ: ওঁরা সবাই ভীষণ খুশি।

প্র: ‘মনমর্জ়িয়া’ এই প্রজন্মের ছবি। কী ভাবে চরিত্রগুলোর সঙ্গে নিজেকে কানেক্ট করেন?

উ: আমি বুঝতে পারি, এই প্রজন্ম কী ভাবে ছবিটার সঙ্গে নিজেদের মিল খুঁজে পাচ্ছে। লক্ষ্য ছিল সেটাই। ওদের মুড ধরার জন্য অনুরাগ (কাশ্যপ) অসম্ভব ভাল কাজ করেছে। এই প্রজন্মের তুলনায় আমার চিন্তাভাবনা একেবারে আলাদা। ওরা এক রকম ভাবে। সেটা আমি-আপনি পাল্টাতে পারব না। ওদের নিজস্ব একটা বিশ্বাসের জগৎ আছে। অন্য রকম নৈতিকতা, মূল্যবোধের ধারণা নিয়ে ওরা চলে। সেটা এ রকমই। যত ক্ষণ না ওরা কাউকে আঘাত করছে, আমরা কেন সেটা নিয়ে মতামত দেব?

প্র: দু’বছরের ব্রেক শেষে ফিরে এসেছেন। এ বার কি পর পর ছবি করবেন?

উ: একদম, একদম।

প্র: পরের ছবি ‘গুলাব জামুন’। ফের অনুরাগের সঙ্গে। তা ছাড়া ঐশ্বর্যাও আছেন। কী মনে হচ্ছে?

উ: চিত্রনাট্যটা খুব সুন্দর। তবে এখনই ওটা শুরু হচ্ছে না। কাজ শুরু হতে আগামী বছর হয়ে যাবে। ঐশ্বর্যার সঙ্গে কাজ... আমি খুব এক্সাইটেড!

প্র: তা হলে ‘গুলাব জামুন’-এর আগে আরও কিছু করছেন?

উ: দুটো...উমম, বেশ কয়েকটা ফিল্ম আছে। তবে সেগুলো নিয়ে এখনই কিছু বলার উপায় নেই।

প্র: অনুরাগ কাশ্যপের সঙ্গে কি আপনার অন্য রকমের কমফর্ট লেভেল রয়েছে?

উ: ওর সঙ্গে কাজ খুব এনজয় করি। পরিচালনায় ওর ভাবনাচিন্তাটা একেবারে আলাদা। অন্তত এই ছবির ক্ষেত্রে বলতে পারি সেটা। ওর আগের ছবির কথা আলাদা। এই ছবিতে দেখেছি, অভিনেতাদের ও অসম্ভব স্পেস আর সময় দেয়। ছোট্ট ছোট্ট ব্যাপার নিয়ে অভিনেতাদের নোটস দেওয়া ওর পছন্দ নয়। ও চায়, অভিনেতা নিজেই বুঝে নিক সিনটা। আর খুঁজে নিক তার পারফরম্যান্সের জায়গা।

প্র: এই প্রজন্মের ছবি হলেও ‘মনমর্জ়িয়া’ সেই ‘হাম দিল দে চুকে সনম’-এর গল্পই বলছে শেষে! রুমি স্বাধীনচেতা আধুনিক মেয়ে। তবু কেন তাকে বর রবির কাছেই ফিরতে হল?

উ: গল্প নিয়ে আমি মন্তব্য করতে পারব না। লেখক কণিকা ধিলোঁ সেটাই দেখাতে চেয়েছেন। অনুরাগও এই ভাবে শেষ করতে চেয়েছে। এই প্রজন্মের কাছে সেটা সাড়াও জাগিয়েছে।

প্র: আরাধ্যার কথায় আসি। ও যদি কোনও দিন ইন্ডাস্ট্রিতে আসতে চায়, খুশি হবেন?

উ: ওর সিদ্ধান্তেই আমি খুশি। বাবা হিসেবে আমি সাপোর্ট করব।

প্র: কতটা সময় দিতে পারেন মেয়েকে?

উ: খুব বেশি না। আমার মনে হয়, যদি আরও একটু সময় দিতে পারতাম!

প্র: তা নিয়ে আরাধ্যা অভিযোগ করে?

উ: না না! ও খুব ছোট্ট মিষ্টি একটা মেয়ে। ও ওর স্কুল নিয়ে ব্যস্ত থাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন