একটা আঁচিলের গল্প

চোখে চশমা। ক্লাস টেন। ফিউচার ফাউন্ডেশন। পড়াশোনার চাপ সামলেও আস্ত একটা ছবি করে ফেলল কন্যে। সৌকর্য ঘোষালের লোডশেডিংয়ে দেখা যাবে তাঁকে। বিপরীতে ঋদ্ধি সেন। তিনি মেঘলা দাশগুপ্ত। লিখছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৩:৪৩
Share:

চোখে চশমা। ক্লাস টেন। ফিউচার ফাউন্ডেশন। পড়াশোনার চাপ সামলেও আস্ত একটা ছবি করে ফেলল কন্যে। সৌকর্য ঘোষালের লোডশেডিংয়ে দেখা যাবে তাঁকে। বিপরীতে ঋদ্ধি সেন। তিনি মেঘলা দাশগুপ্ত। ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ডে মা অভিনেত্রী বিদীপ্তা চক্রবর্তী এবং বাবা পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত। রবিবাসরীয় দুপুরে সিনেমা দেখতে দেখতে মেঘলা আড্ডা দিলেন স্বরলিপি ভট্টাচার্যের সঙ্গে।

Advertisement

সামনে তো পরীক্ষা?

হুম। খুব পড়ার চাপ এখন।

Advertisement

তার মধ্যেও তো সময় বের করে শুটিং সামলাতে হল।

হ্যাঁ তা হল।

এটা তো এক্সপেক্টে়ডেট ছিল তুমি অভিনয় করবে।

কেন?

না, তোমার ব্যাকগ্রাউন্ড তো তাই বলছে। পরিবারের সকলে সিনেমার সঙ্গে যুক্ত। কেউ পরিচালক, তো কেউ অভিনেত্রী।

ঠিকই। তবে আমি কোনওদিনই ভাবিনি অভিনয় করব। বরং ছোটবেলা থেকে যারা এই পেশায় রয়েছে তাদের ওপর রাগ হত।

কেন?

কেউ সময়ে বাড়ি ফেরে না (হাসতে হাসতে)। তাই বাবা, মা, ঠাকুমা সকলের ওপর রাগ হত।

তা হঠাত্ অভিনয় করতে রাজি হলে কেন?

আসলে গল্পটা পড়ে ভাল লেগেছিল। মনে হয়েছিল এটা আমার করা উচিত্। আর এখানে আমার নামটা খুব ইন্টারেস্টিং। আঁচিল।

এমন অদ্ভুত নাম কেন?

সেটা তো বলব না। এখন সব বলে দিলে কেউ ছবিটা দেখবে না। (কপট রাগ)

লোডশেডিংয়ে তো মা (বিদীপ্তা চক্রবর্তী)-এর সঙ্গে প্রথম স্ক্রিন শেয়ার। কেমন লাগল?

ভালই। একটাই সিন ছিল মার সঙ্গে।

মা কোনও টিপস দিয়েছে?

না আলাদা করে কিছু নয়। অন্য শট দেওয়ার সময় মা-কে দূরে থাকতেই বলেছিলাম। মা সামনে থাকলে কেমন একটা অস্বস্তি হত। তবে মাকে বলেছিলাম ভুল হলে আলাদা করে বলো। সবার সামনে কিছু বোলো না।

আর ঋদ্ধির সঙ্গে ওয়েভ লেনথ কতটা ম্যাচ করল?

আসলে ঋদ্ধি আমার ছোটবেলার বন্ধু। প্রায়ই আসে আমাদের বাড়িতে। তাই কোনও অসুবিধে হয়নি। দারুণ মজা করে কাজ করেছি আমরা।

দেখুন, লোডশেডিংয়ের ছবি

বাড়ির সবাই কী বলছে?

সকলে সাপোর্ট করছে। তবে আমার বোন ইদা সবচেয়ে উত্তেজিত। ও ঋদ্ধিকে নাড়ুদাদা বলে ডাকে। আর আমাকে দেদে বলে। ওর পছন্দের দু’জন মানুষ একসঙ্গে কিছু করছে। তাই ও খুব উত্তেজিত।

তুমি সাজতে ভালবাস?

খুব একটা না। তাও এখন একটু একটু সাজি। ছোটবেলায় তো পুরো টমবয় গোছের ছিলাম।

কার ফ্যাশন সেন্স ভাল লাগে তোমার?

মা। দারুণ সাজে। আর ঠাকুমার সাজও খুব সুন্দর।

ভগবানে বিশ্বাস কর?

আমার কাছে বেনেডিক্ট কামবারব্যাচ ভগবানের মতো।

বেনেডিক্টকে নিয়ে ফ্যান্টাসিজম আছে তা হলে?

না, ঠিক তেমন নয়। আমি পারলে পুজো করি লোকটাকে। আর ফ্যান্টাসিজম যদি বলো তা হলে সে তো রণবীর কপূর।

বয়ফ্রেন্ডরা শুনলে রাগ করবে তো।

ধুর! আমার বয়ফ্রেন্ড নেই। তুমি আবার প্লুরাল করে দিলে। (মুচকি হাসি)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন