কৃতী শ্যানন। ছবি: রণজিৎ নন্দী
উৎসবের শহরে এসেছিলেন ‘বরেলী কী বরফি’র বিট্টি মিশ্র। কৃতী শ্যাননকে এক ঝলক দেখার জন্য শপিং মলের একটি স্টোর পর্যবসিত হয়েছিল ছোটখাটো মণ্ডপে। তাঁকে দেখতে সারি বেঁধে দাঁড়িয়েছিলেন আঠারো থেকে আটান্ন।
দিল্লিতে কখনও পুজো দেখেছেন? ‘‘না, কলকাতার মতো এত বড় পুজো তো ওখানে হয় না। ছবিতে দেখেছি বা বন্ধুদের সঙ্গে কখনও গিয়েছি। সে ভাবে দুর্গাপুজো কখনও সেলিব্রেট করিনি। খুব ইচ্ছে, কলকাতায় এসে এখানকার মতো করে পুজো কাটানোর,’’ হাসতে হাসতে বললেন নায়িকা। অভিনয়ের পাশাপাশি ফ্যাশনিস্তা হিসেবেও কিন্তু কৃতীর সুনাম রয়েছে। উৎসবের দিনে কী ধরনের পোশাক পরবেন? ‘‘অনেক দিন ধরে যেহেতু এই উৎসবের মরসুম চলে, তাই আমি কুল-ক্যাজুয়াল পোশাক পরাই পছন্দ করব। পুজোয় ট্র্যাডিশনাল পরব। তবে বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরার জন্য স্মার্ট, কমফর্টেবল পোশাক বাছব।’’ তন্বী, দীর্ঘাঙ্গী কৃতীর কাছে সৌন্দর্যের সংজ্ঞা কী? ‘‘আমার কাছে লেস ইজ মোর। ত্বকের স্বাভাবিক জেল্লা যেন বাড়ে, সে দিকে নজর রাখি। মিনিমাল মেকআপ পছন্দ করি। যত বেশি খুশি থাকব, ত্বকও তত বেশি হাসবে,’’ বললেন কৃতী।
কৃতীর ঝুলিতে চারটি হিন্দি ছবি। ‘বরেলী কী বরফি’র বিট্টির সুবাদে তিনি সমালোচকদের নজর কেড়েছেন। এর পর কী গ্ল্যামারাস চরিত্রের বদলে ক্যারেক্টার বেসড চরিত্র বাছবেন? ‘‘এটা ভুল ধারণা যে, গ্ল্যামারাস চরিত্র মানে অভিনয়ের সুযোগ থাকে না। শুধুমাত্র ডি-গ্ল্যাম রোলেই যে অভিনয় প্রতিভা দেখানো যায়, এটা ঠিক নয়। ‘বরেলী...’ অন্য ধাঁচের ছবি। নতুন রূপে দর্শক আমাকে গ্রহণ করায় আমার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। অভিনেত্রী হিসেবে অন্য কিছু করার ঝোঁক তো সব সময় আছে। তবে চরিত্র বাছার ক্ষেত্রে আমি অন্তর্দৃষ্টির উপর ভরসা করি,’’ স্পষ্ট করলেন নায়িকা।
চারটি ছবিতে পাঁচ জন ভিন্ন সহ-অভিনেতার সঙ্গে কাজ করেছেন কৃতী। এই পাঁচ জনকে একটি শব্দে বর্ণনা করতে বললে কৃতী বেশ ভয় পেয়ে গেলেন। ‘‘এটা খুব কঠিন কাজ। আমি অনেকটা সময় নেব।’’ প্রথমে এক বার বলতে শুরু করেও রিটেক নিলেন। শেষমেশ তাঁর উত্তর, ‘‘টাইগার (শ্রফ) ডিসিপ্লিনড, বরুণ (ধবন) ফান-লাভিং, সুশান্ত (সিংহ রাজপুত) পরিশ্রমী, আয়ুষ্মান (খুরানা) ডাউন টু আর্থ আর রাজকুমার (রাও) অসম্ভব প্রতিভাবান।’’ পলিটিক্যালি কারেক্ট থাকার জন্য এটা বলতেও ভুললেন না, ‘‘এর মানে বাকিরা প্রতিভাবান নয়, সেটা কিন্তু বলিনি।’’
রাজকুমার রাও অভিনীত ‘নিউটন’-এর অস্কারে ভারতের অফিশিয়াল এন্ট্রির খবরে উচ্ছ্বসিত কৃতী বলেন, ‘‘সত্যি, ও একজন ফেনোমেনাল অভিনেতা। ওর জন্য ভীষণ খুশি।’’
কৃতী-সুশান্ত অভিনীত ‘রাবতা’ বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। তবে তাঁদের অনস্ক্রিন আর অফস্ক্রিন রসায়ন নিন্দুকদেরও মুখ বন্ধ করে দিয়েছিল। সুশান্তের সঙ্গে এই কেমিস্ট্রির সিক্রেটটা কী? ‘‘সে ভাবে এটা বলা যায় না। ‘রাবতা’র প্রচারের সময় নিজেরাও এটা খোঁজার চেষ্টা করেছিলাম। তবে অভিনয়ের সময়ে আমি মন দিয়ে সুশান্তের কথা শুনতাম। আর তার রিফ্লেক্সে যে প্রতিক্রিয়া দিতাম, সেটাই পরদায় একটা অন্য রকম এনার্জি তৈরি করত,’’ স্মিত হাসি নায়িকার মুখে। অফস্ক্রিনও সুশান্তের কথাই যে কৃতী বেশি শুনছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না!