‘গ্লোবাল সিঙ্গিং আইকন হয়ে উঠতে চাই’

সকলেই আমাকে এটা জিজ্ঞেস করেন যে, ‘মালিক’ পরিবার থেকে আসার ফলে কাজটা কতটা সহজ। আমি কিন্তু ভিন্ন রাস্তা নিয়েছিলাম। বাবার অমতে গিয়ে রিয়্যালিটি শোয়ে অংশ নিয়েছিলাম। বাবা চাননি, প্রতিযোগিতায় অংশ নিই।

Advertisement

রূম্পা দাস

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৭ ০৯:৩০
Share:

আরমান মালিক।

বাবার অমতে রিয়্যালিটি শোয়ে অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে নানা পুরস্কার জেতা। আরমান মালিকের কেরিয়ারের জার্নিটা কেমন।

Advertisement

প্র: ২০১১ থেকে ’১৭... মাত্র ছ’বছরেই ঝুলিতে এতগুলো হিট। গল্পটা কী?

Advertisement

উ: দশ বছর বয়সে ‘সারেগামাপা লি’ল চ্যাম্পস’-এ অংশগ্রহণ করেছিলাম। তার পর ‘ভূতনাথ’, ‘তারে জমিন পর’-এর মতো ছবিতে চাইল্ড সিঙ্গার হয়েছি। ২২ বছর বয়সেই ইন্ডাস্ট্রিতে দশ বছর কাটিয়ে ফেলেছি। অমিত ত্রিবেদী, শঙ্কর-এহসান-লয়, বিশাল-শেখরের মতো সংগীত পরিচালকদের সঙ্গেও কাজ করেছি। কম বয়সে সাফল্য পাওয়ার অনুভূতিটাই অন্য রকম।

প্র: মিউজিকের ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসে কেরিয়ার তৈরি কতটা সহজ হয়েছে?

উ: সকলেই আমাকে এটা জিজ্ঞেস করেন যে, ‘মালিক’ পরিবার থেকে আসার ফলে কাজটা কতটা সহজ। আমি কিন্তু ভিন্ন রাস্তা নিয়েছিলাম। বাবার অমতে গিয়ে রিয়্যালিটি শোয়ে অংশ নিয়েছিলাম। বাবা চাননি, প্রতিযোগিতায় অংশ নিই। আমি বোঝাতে চেয়েছিলাম যে, ফিল্ম বা মিউজিকের ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে উঠে আসা ছেলেমেয়েরাও বাকি দেশবাসীর সঙ্গে একসঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে পারে। আমি এটা নিজের জন্য করেছিলাম। পরিবারের ছত্রছায়া থেকে বেরোতে চাই বলেই করেছিলাম।

প্র: এখনও অবধি তো বাবা, কাকার সঙ্গে কাজ করেননি?

উ: বাবার সঙ্গে কাজের কথা চলছে। এটা নন-ফিল্ম গান। বাবার কম্পোজ। আমি গাইব।

প্র: এত কম বয়সে সফল হওয়ার পরে জীবন বদলেছে?

উ: আমার পথচলা এখনও অনেক বাকি। হ্যাঁ, কম বয়সে সাফল্য পেয়েছি অবশ্যই। কিন্তু নিজেকে প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবেই ধরে রাখতে চাই না। আমি আন্তর্জাতিক গায়ক হতে চাই। শুধু ছবির জন্যই গায়ক নয়, আমি নিজের ভয়েসের মুখ হতে চাই। অনেকেই ভাবেন যে, গায়কেরা আসলে অভিনেতাদের জন্য রেকর্ডিং বুথে গান করেন। কিন্তু এখন নন-ফিল্ম মিউজিক বাড়ছে। সম্প্রতি ‘আ জানা ফেরারি মে’ বলে একটা গানের ভিডিয়ো শ্যুট করলাম। ‘কৌন তুঝে হ্যায় অ্যান্ড কুছ তো হ্যায়’ লাভ ম্যাশআপও করেছি। আমার মনে হয়, পাশ্চাত্য জগতের মতোই আরও বেশি বেশি করে গায়কদের মুখ এখানেও সামনে আসা উচিত। তাই শুধু বলিউডের গায়ক নয়, ‘গ্লোবাল সিঙ্গিং আইকন’ হয়ে ওঠাই আমার লক্ষ্য।

প্র: আপনার গানের অনুপ্রেরণা?

উ: মাইকেল বুবলি, সোনু নিগম। আমি সোনুর কাছে অনেক কিছু শিখেছি।

প্র: এখন অরিজিৎ সিংহ তো বলিউডের সবচেয়ে উজ্জ্বল নাম...

উ: আ অ্যাম আ বিগ ফ্যান অব অরিজিৎ সিংহ। আশ্চর্যের যে, একটা অ্যাওয়ার্ড শোয়ে অরিজিৎ নিজে আমাকে বলেছেন যে, ওঁর আমার গলা ভাল লাগে। এখন গায়কদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি ভালবাসাটা দারুণ। অরিজিৎ তো মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে একটা বড় বদল এনেছেন। অসাধারণ গায়ক উনি।

প্র: কোন কোন সংগীত পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে?

উ: প্রীতম এবং এ আর রহমান।

প্র: নানা ভাষায় গান করলেও বাংলায় হাতে গোনা কয়েকটা। বাংলা গান গাইতে চান?

উ: আমি বাংলায় কাজ করতে চাই। এখানে ভাল ভাল কাজও হচ্ছে। জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। রেকর্ডিং চলছে।

প্র: এর পর কী কী কাজ?

উ: ‘বাগী টু’, ‘গোলমাল ফোর’। ‘বাবুমশাই বন্দুকবাজ’-এ ‘বরফানি’ নামে একটা অন্য রকম গানও গেয়েছি।

প্র: গান না কম্পোজিশন— কোনটা কাছের?

উ: অবশ্যই গান। ফিল্ম, নন-ফিল্ম, জিঙ্গল— সমস্ত রকম গানই করতে চাই।

প্র: রিমিক্সের ট্রেন্ড নিয়ে আপনার মত?

উ: আমি নিজেও অনেকগুলো করেছি। বলা ভাল, রিক্রিয়েশন করার চেষ্টা করেছি। তবে অরিজিন্যাল স্কোর কমছে। সেটাই দুঃখের। আমার মনে হয়, এই ফেজটা কেটে যাবে।

প্র: আপনার তো দিব্যি হিরোসুলভ চেহারা। সিনেমায় নামার কথা ভেবেছেন?

উ: এক্ষুনি নয়। তবে কখনও অভিনয় করতে এলে সেটা শিখে তার পরেই আসব। চাই না যে, দর্শক পরদায় আমাকে দেখে বলুক, এ তো অভিনয় পারেই না।

প্র: ব্যস্ত জীবন তো হল। আর প্রেমিকা?

উ: সেটা ব্যক্তিগত জীবন। মন্তব্য করতে চাই না। আসলে, আমি কারও হৃদয়ে আঘাত করতে চাই না (হেসে)।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন