আমির খানের ভক্তরা তাঁকে একের পর এক ফোন করে চলেছেন। একটা ধরতে না ধরতেই আর একটা ‘কল ওয়েটিং’। একটা ফোন কাটতে না কাটতেই ঢুকে যাচ্ছে আর একটা ফোন। এ ভাবেই প্রায় হাজার খানেক ফোন এলো তাঁর কাছে। কেউ তাঁর সঙ্গে একটু কথা বলতে চায়, কেউ বন্ধু হতে চায় তো কেউ আবার ফিল্মে একটা সুযোগ পেতে নাছোড়! কিন্তু এঁদের প্রত্যেকের ফোন ‘রং নম্বর’ বা ‘আমি সেই আমির খান নই’ বলে কেটে দিতে হয়েছে তাঁকে। কারণ তিনি তো আর অভিনেতা আমির খান নন! তিনি পেশায় একজন বিমাকর্মী। বয়স ৫১। সম্প্রতি ফর্ম ভরে নিজের জীবনবিমার প্রিমিয়াম জমা দেন তিনি। আর সেখান থেকেই কোনও ভাবে ছড়িয়ে যায় তাঁর মোবাইল নম্বর। এই বিমাকর্মীর নাম আর বয়স বলিউড অভিনেতা আমির খানের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় এই বিপত্তি।
এই ঘটনা কানে গেলে হয়তো বলিউডের ‘মিস্টার পার্ফেক্সনিস্ট’ আমির খানও হতভম্ভ হয়ে যাবেন! এই ঘটনায় অবশ্য আমিরের ভক্তদের দোষ দেওয়া যায় না! আমির খানের মোবাইন নম্বর যাঁদের হাতে পড়বে তাদের ৯০ শতাংশই তাঁকে ফোন করার লোভ সামলাতে পারবেন না! এটাই তো স্বাভাবিক! কিন্তু জীবনবিমার প্রিমিয়াম জমা দেওয়ার ফর্ম থেকে কারও ব্যক্তিগত তথ্য বা মোবাইল নম্বর এ ভাবে ছড়িয়ে পড়াটা মোটেই কাম্য নয়। এই খবর শুনে অনেকেই বলছেন ‘দুর্ভাগ্য জনক’!
আরও পড়ুন...
এ বার কর্ণের কফিতে চুমুক দেবে ‘দঙ্গল’ পরিবার