Anirban Bhattacharya

Anirban Bhattacharya: মন্দার গ্ৰামের গল্প, ছবিটা কিন্তু নাগরিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই তৈরি, বললেন অনির্বাণ

ছবি, ওয়েব সিরিজ, নাটক, সাহিত্য, শিল্পের চর্চা নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের শনিবাসরীয় আড্ডায় মেতেছিলেন নাট্যকার, অভিনেতা, পরিচালক, গায়ক। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২১ ১৫:২৪
Share:

অনির্বাণ ভট্টাচার্য।

‘মন্দার’। গত এক মাস এই একটি ওয়েব সিরিজে মজে অধিকাংশ বাংলা ছবি বা সিরিজের দর্শক। ভক্তরা তো বটেই, নড়ে চড়ে বসেছেন বাকিরাও৷ অনেকেই বলছেন— বহু দিন পরে যেন কলকাতা শহর নয়, নিখাদ গ্রাম বাংলা উঠে এসেছে পর্দায়। আর তাকে দেখা হয়েছে গ্রামের চোখেই। কিন্তু অনুরাগী মহলের সেই ধারণাকে নস্যাৎ করে দিলেন খোদ পরিচালক অনির্বাণ ভট্টাচার্য। পর্দার পিছনের দৃষ্টিভঙ্গির কথা খুলে বললেন তিনি।

ছবি, ওয়েব সিরিজ, নাটক, সাহিত্য, শিল্পের চর্চা নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের শনিবাসরীয় আড্ডায় মেতেছিলেন নাট্যকার, অভিনেতা, পরিচালক, গায়ক অনির্বাণ। ‘মন্দার’ ঘিরে আলোচনা শুরু হতেই বললেন, ‘‘মন্দার কিন্তু খুব শহুরে দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা।’’

Advertisement

কী বলতে চাইলেন অনির্বাণ? নিজের বক্তব্যের যুক্তিতে পরিচালক তুলে এনেছেন একটি পংক্তি— কেউ কেউ বহু দূরের একটি পাহাড় থেকে নদী তীরের মানুষদের দেখে। কেউ কেউ সেই মানুষদের সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে তাঁদের গল্প শোনে। অনির্বাণ নিজেকে প্রথম দলের সঙ্গেই ভিড়িয়েছেন। তাঁর মতে, ‘মন্দার’ গ্রামের গল্প হলেও সেখানকার দৃষ্টিভঙ্গিতে তৈরি নয়। বরং এ ছবির সবটা জুড়ে শহুরে চোখে দেখা গ্রামের কাহিনি।

তা হলে কেন এ ছবিতে নির্মেদ, নিখাদ গ্রামবাংলাকে খুঁজে পাচ্ছেন মানুষ? পরিচালকের মতে, ‘‘মানুষ কোথায় গিয়ে কোন উপাদানের সঙ্গে একাত্ম বোধ করে, তা আগে থেকে বোঝা সম্ভব নয়।’’ অনির্বাণের মতে, কোনও সংলাপ, কোনও সুর বা কোনও ছবিতে নিজেকে জুড়ে ফেলতে পারেন দর্শক। সেখান থেকেই হয়তো ‘মন্দার’-এ বহু দর্শক গ্রাম জীবনের দৃষ্টিভঙ্গী খুঁজে পেয়েছেন- অনুমান পরিচালকের।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন