‘বলিউড’-এ এত দিন ধরে কাজ করে এসেছেন অনুপম খের! সেই সুবাদে কম যশ প্রাপ্তি হয়নি তাঁর। সেই তিনি কি না বলছেন, ‘বলিউড’ তাঁর একেবারে সহ্য হয় না?
আসলে কুয়ালালামপুরে ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস, ২০১৫-র উদ্বোধনী সেশনের বক্তৃতায় অভিনেতা অনুপম খের জানালেন, ‘বলিউড’ শব্দটাকে একেবারেই বরদাস্ত করতে পারেন না তিনি। বরং ‘হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি’ টার্মটাই তাঁর বেশি পছন্দের। প্রসঙ্গক্রমে হিন্দি ছবির বিশ্বায়ন নিয়েও কথা বলেন অনুপম এই বক্তৃতায়। অনাবাসী ভারতীয় ভুবনে হিন্দি সিনেসার অমোঘ ভূমিকার কথা মনে করিয়ে দেন ‘বেন্ড ইট লাইক বেকহ্যাম’, ‘সিলভার লাইনিং প্লেবুক’-এর অভিনেতা।
বক্তৃতায় অভিনেতা অনুপম খের জানালেন তাঁর বিখ্যাত অ্যাক্টিং স্কুল ‘দি অ্যাক্টর প্রিপেয়ার্স’ তৈরির গল্প। এগারো বছর আগে প্রায় নিঃসম্বল অবস্থায় অনুপম এই স্কুল তৈরি করেছিলেন। ফিল্ম তৈরির সবকটা দিকে ব্যর্থ হয়েই নাকি তিনি অভিনয় শেখানোর দিকে ঝোঁকেন। একটা ছোট ঘরে মাত্র ১২ জন ছাত্র নিয়ে ভবিষ্যতের অভিনেতা নির্মাণের কাজে হাত দেন অনুপম। একেবারে ব্যর্থও হননি তিনি। হৃতিক রোশনের মতো অভিনেতাও এই শিল্পের নানান খুঁটিনাটি শিখেছেন অনুপমের স্কুলে।
কিন্তু, এ ছিল মুম্বইয়ের কথা! বক্তৃতায় জানাতে ভোলেননি অনুপম—মালয়েশিয়ার মতো দেশে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান তৈরি হলে পেশার জগতে নতুন রাস্তা খুলবে। এর জন্য উচিত সরকারের এগিয়ে আসা— অভিমত ষাট বছরের অভিনেতার।
সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে তিনি বলেন, আগের সরকারের প্রায়োরিটি-তালিকায় সিনেমা ছিল সব থেকে পিছনে। মোদি-আমলে সিনেমার প্রতি সরকারি দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে। ভারতীয় ছবির ভবিষ্যত্ নিয়ে তাই যথেষ্ট আশাবাদী অনুপম।