অঞ্জনের রান্নাঘরে...

ব্যক্তিগত জীবনে খাওয়াদাওয়া আর সঙ্গীত, দুটোই পরিচালকের পয়লা নম্বরের পছন্দ। এ বার এই দুটো জিনিসকেই অঞ্জন দত্ত একসঙ্গে পর্দায় নিয়ে আসছেন। তাঁর এই ফুড-মিউজ়িক্যালের নাম ‘সাহেবের কাটলেট’। মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন অর্জুন চক্রবর্তী।ব্যক্তিগত জীবনে খাওয়াদাওয়া আর সঙ্গীত, দুটোই পরিচালকের পয়লা নম্বরের পছন্দ। এ বার এই দুটো জিনিসকেই অঞ্জন দত্ত একসঙ্গে পর্দায় নিয়ে আসছেন। তাঁর এই ফুড-মিউজ়িক্যালের নাম ‘সাহেবের কাটলেট’। মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন অর্জুন চক্রবর্তী।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৯ ০০:০১
Share:

অর্জুন এবং অঞ্জন

ব্যক্তিগত জীবনে খাওয়াদাওয়া আর সঙ্গীত, দুটোই পরিচালকের পয়লা নম্বরের পছন্দ। এ বার এই দুটো জিনিসকেই অঞ্জন দত্ত একসঙ্গে পর্দায় নিয়ে আসছেন। তাঁর এই ফুড-মিউজ়িক্যালের নাম ‘সাহেবের কাটলেট’। মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন অর্জুন চক্রবর্তী।

Advertisement

ছবির নামে একটা চমক আছে। নামের ব্যাখ্যায় পরিচালক বলছেন, “কাটলেট সাহেবি খাবার হলেও, সময়ের সঙ্গে তা বাঙালি খাবারই হয়ে গিয়েছে। অ্যালেনের কাটলেট যেমন বাঙালির ঐতিহ্য। বাঙালি খাবারেও কিন্তু সারা পৃথিবীর ছোঁয়া মিশে আছে। এই ছবিতে ফুড ফিল্ম জঁরটাকে আমি এক্সপ্লোর করতে চাই। আমার সব ছবির মতো এখানেও গান তো থাকবেই।’’

ছবিতে অর্জুন শেফের চরিত্রে। কন্টিনেন্টাল রান্না তার হাতে দারুণ খোলে। রান্না নিয়ে পড়াশোনাও বিস্তর। কিন্তু কোথাও সে টিকতে পারে না। নানা রকম ঝগড়াঝাঁটি করে চাকরি খোয়ায়। বিদেশি কুইজ়িনে ওস্তাদ শেফ বুঝতে পারে, শিঙাড়া তৈরি করতেও এলেম লাগে। ‘সাহেবি কাটলেট’-এর গোটা গল্পটাই এগোয় ন্যারেশনের মধ্য দিয়ে। সঙ্গত দেয় গান। ছবিতে একটি চরিত্র গিটার বাজিয়ে গানের মাধ্যমে গল্পটা বলতে থাকে। অঞ্জন নিজেই সেই চরিত্রে রয়েছেন। ছবিতে একটি ভিলেনও রয়েছে। সেই চরিত্রটি করছেন সুপ্রকাশ। পরিচালকের ‘ফাইনালি ভালোবাসা’তে তিনি অন্যতম চরিত্রে ছিলেন। “বেজায় বদমাশ একটা চরিত্র। সুপ্রকাশ ছাড়া কাউকে মানাত না,” অভিনেতার প্রশংসায় বললেন অঞ্জন।

Advertisement

ছবিতে নারী চরিত্রের সন্ধান চলছে। নতুন কাউকে চাইছেন পরিচালক, “অর্জুনের চরিত্রের একেবারে বিপরীত এই মেয়েটি। নাম খেঁদি। চেহারায় মফস্‌সলি ছোঁয়া থাকতে হবে। জুলাই নাগাদ শুটিং শুরু করব। আশা করছি, তার আগে তাকে পেয়ে যাব,” বক্তব্য তাঁর। পরিচালকের অন্যান্য ছবির মতো সিরিয়াসধর্মী নয় ‘সাহেবি কাটলেট’। অঞ্জনের কথায়, “আমার মনে হতো পর্দায় সিরিয়াস গল্পই বলা উচিত। কেউ যদি বলত, আমি দুঃখ ভোলার জন্য সিনেমা দেখতে চাই, তা হলে আমি তাকে ধমক দিতাম। এখন চারদিকের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, মানুষ ছবি দেখে যদি একটু দুঃখ ভুলতে চায়, তো ক্ষতি কী! সেই ভেবেই এই গল্পটা।”

ফুড ফিল্ম সম্প্রতি হয়েছে ‘মাছের ঝোল’, ‘আহা রে’। পরিচালকের বক্তব্য, তিনি অনেক দিন আগেই চিত্রনাট্য লিখেছিলেন। কিন্তু তত দিনে প্রতিমের ‘মাছের ঝোল’-এর ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল। তাই সময় নেন অঞ্জন। তাঁর ছবিতে একঝাঁক অভিনেতা রয়েছেন— কাঞ্চন

মল্লিক, অম্বরীশ ভট্টাচার্য, বিশ্বনাথ বসু। কাস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে, কৌতুকের জায়গায় কোনও খামতি রাখতে চাননি অঞ্জন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন