বাহুবলীর নতুন দুনিয়ায়

এ সিনেমা কখনই আর পাঁচটার মতো নয়। বোধহয় এই প্রথম কোনও সিক্যুয়েলের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছেন দর্শক। কিন্তু এই ছবিই কি ‘বাহুবলী’ ফ্র্যাঞ্চাইজির শেষ ছবি?

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৭ ০০:৪৭
Share:

এ সিনেমা কখনই আর পাঁচটার মতো নয়। বোধহয় এই প্রথম কোনও সিক্যুয়েলের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছেন দর্শক। কিন্তু এই ছবিই কি ‘বাহুবলী’ ফ্র্যাঞ্চাইজির শেষ ছবি? তা নিয়ে শ’খানেক ফ্যান-থিওরি ঘোরাঘুরি করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ‘কাট্টাপা নে বাহুবলী কো কিঁউ মারা?’ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে-খুঁজতে ট্রেলারের ‘ভিউ’ প্রায় পাঁচ কোটিতে গিয়ে ঠেকেছে। ছবির ক্লিপিংস ইন্টারনেটে ফাঁস করে দেওয়ায় গ্রেফতার হতে হয় প্রোডাকশন কর্মীকে। কিন্তু কেন এই মাতামাতি?

Advertisement

ছবি মুক্তির আগেই ৫০০ কোটি! আজ্ঞে হ্যাঁ, এপ্রিলে মুক্তি পেতে চলা ‘বাহুবলী: দ্য কনক্লুশন’ বড় পরদায় আসার আগেই ঘরে তুলে নিয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। ইন্ডাস্ট্রির এক সূত্র অনুযায়ী, শুধু হিন্দি থিয়েট্রিকাল রাইটস-ই নাকি বিক্রি হয়েছে ১২০ কোটি টাকায়। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে দেশের বাইরে ছবি দেখানোর সত্ত্ব বিক্রি। সবাইকে চমকে দিয়ে সোনি টিভি নেটওয়ার্ক এই ছবির হিন্দি স্যাটেলাইট রাইটস কিনেছে ৫১ কোটি টাকায়। কোনও ডাব করা ছবির ক্ষেত্রে এটা সর্বোচ্চ। বলিউডের ট্রেড অ্যানালিস্টদের মতে, আমির খানের ‘দঙ্গল’ ছবির বক্স অফিস রেকর্ড ভাঙা ‘বাহুবলী’র কাছে শুধু সময়ের অপেক্ষা।

বক্সঅফিসে মতোই, ‘বাহুবলী: দ্য কনক্লুশন’ ভারতের অন্যতম ব্যয়বহুল ছবি। পরিচালক বা প্রযোজকরা মুখ না-খুললেও, শোনা যাচ্ছে, ছবির সেট তৈরিতেই খরচ হয়েছে ২৫০ কোটি টাকা। ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং’ ছবির মতো এ ছবিতেও নাকি ও রকমই একটা জলপ্রপাতের দৃশ্য রয়েছে। কিন্তু টাকা বাঁচানোর বদলে, সিক্যুয়েলের জন্য আবার শ্যুট করিয়েছেন পরিচালক রাজামৌলি।

Advertisement

অভিনেতা প্রভাস আর রানা ডগ্গুবতীর জন্যও খরচ কম হয়নি প্রযোজকদের। প্রভাসের জন্য জিম বানাতে খরচ হয়েছিল দেড় কোটি টাকা। আর ‘বাহুবলী: দ্য কনক্লুশন’ ছবির ফাইটিং সিকোয়েন্সের ট্রেনিংয়ের জন্য ভিয়েতনাম থেকে মার্শাল আর্টস ট্রেনারও আনানো হয়েছে। প্রভাসও যোগ্য সম্মান দেখিয়েছেন পরিচালকের প্রতি। এই তিন বছরে অন্য কোনও ছবি হাতেও নেননি।

প্রযুক্তির দিক থেকেও অন্য অনেক ছবির চেয়ে এগিয়ে ‘বাহুবলী’। আটশোর বেশি টেকনিশিয়ান তো আছেনই, জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অনেক শিল্পী কাজ করছেন এখানে। রাজামৌলি, ছবির স্পেশাল এফেক্টের জন্য আনিয়েছেন ‘জুরাসিক পার্ক’ ছবির টিম। খুব সম্ভবত এটাই একমাত্র পূর্ণ দৈর্ঘ্যর ভারতীয় ছবি যা ফোর ডি প্রযুক্তিতে তোলা হয়েছে। তাই ছবি দেখানোর জন্য সিনেমার প্রজেকশনে বদল আনতে হয়েছে। এই না হলে, ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ ছবি!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন