‘উড়তা’ উড়ান

লড়াই সবে শুরু

‘উড়তা পঞ্জাব’ নিয়ে জাতীয় বিতর্ক এঁদের আরও বেশি করে আমজনতার মনে ঢুকিয়ে দিয়েছে। পরিচালক অভিষেক চৌবে। একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন আনন্দplus কে অভিষেক, অভিনন্দন। এ যেন একটা লড়াই জিতলেন, তাই না... ধন্যবাদ। কিন্তু আমার কাছে এটা কোনও জয় নয়। লড়াইটা আসলে সবে শুরু হয়েছে।

Advertisement

অভিষেক চৌবে-র সঙ্গে আড্ডায় সুজিষ্ণু মাহাতো

শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৬ ০০:০০
Share:

অভিষেক, অভিনন্দন। এ যেন একটা লড়াই জিতলেন, তাই না...

Advertisement

ধন্যবাদ। কিন্তু আমার কাছে এটা কোনও জয় নয়। লড়াইটা আসলে সবে শুরু হয়েছে।

Advertisement

কী বলছেন! ছবি মুক্তির আগে এত বাধা। তা টপকানোটা লড়াই নয়?

দেখুন, এগুলো তো অপ্রয়োজনীয়। আমরা ছবি তৈরি করি মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য। সেটা করতে গিয়ে যদি বাধা আসে, তা হলে তো আর বসে থাকতে পারি না। তার জন্য যেটুকু প্রয়োজন করেছি। কিন্তু আসল বিচারক দর্শক। তাঁরা যাতে ছবিটা দেখতে পারেন, তার ব্যবস্থা করাটা ছিল আমাদের দায়িত্ব। সেটা করেছি।

মুক্তির বাধা কাটার পরেও তো পাইরেসি বিতর্ক! অভিযোগ উঠছে সেন্সর বোর্ডের কপি নাকি লিক হয়ে গিয়েছে...

এতে কিছু আসে যায় না...

বলছেন? কিন্তু কিছুটা প্রভাব তো ব্যবসায় পড়বে...

দেখুন, আমার মনে হয় এগুলোতে খুব একটা ফারাক পড়ে না। যাঁরা দেখার, তাঁরা ছবিটা হলে গিয়েই দেখবেন।

এই বিতর্ক-পর্বে বলিউডের বহু স্টার আপনার পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমির খান, কঙ্গনা রানাওয়াত, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, সোনাক্ষী সিংহরা প্রত্যক্ষ সমর্থন করেছেন। সঙ্গীত পরিচালক অমিত ত্রিবেদী বলেছেন তিনি খুব নিশ্চিন্ত আর খুশি। পরোক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন অমিতাভও। তাতে তো আপনাদের কাজটা অনেক সহজ হয়েছে...

নিশ্চয়ই। ওঁদের সকলকে ধন্যবাদ। সবার সমর্থন আমাদের অনেক শক্তি জুগিয়েছে।

শাহরুখ, সলমনের কোনও বিবৃতি কিন্তু সামনে আসেনি…

দেখুন, আমি এর ভেতরে যেতে চাই না। কে মুখ খুলবেন, কে খুলবেন না সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়। পার্সোনাল কল। যাঁর যা মনে হয়েছে, তিনি তাই করেছেন।

আচ্ছা একটু অন্য কথা বলি। শাহিদ-করিনা বহু দিন পর এক ছবিতে। তবে তাঁরা ফ্রেম শেয়ার করেননি। লোভ হয়নি, ওঁদের এক ফ্রেমে আনতে?

(হাসি) না না, লোভ হয়নি। চিত্রনাট্যের প্রয়োজন হলে ওঁরা নিশ্চয় এক ফ্রেমে আসতেন। সে প্রয়োজন হয়নি।

এক ফ্রেমে না হয় আসেননি। কিন্তু আপনি তো ওঁদের দেখলেন...

হ্যাঁ। দু’জনেই অসাধারণ অভিনয় করেন। তবে এই ছবিতে ওঁদের দু’জনের চরিত্রের কোনও মিল নেই।

‘উড়তা পঞ্জাব’ নিয়ে বিতর্ক পেরনোর পর কী মনে হচ্ছে?

দেখুন, খুব কঠিন একটা সময় পেরিয়ে এসেছি। আমরা দর্শককে গল্প বলতে চাই। দর্শকের কাছে পৌঁছতে চাই। সেটা যদি না পারি খুব হতাশ লাগে।

তার উপর যদি শোনা যায় ছবিটা কোনও রাজ্যকে বদনাম করতে পারে....

ভাবুন! তাহলে কতটা খারাপ লাগে। এটা ঠিক নয়। আমাদের কেন এমন উদ্দেশ্য থাকবে? ছবিটা দেখলে সকলে বুঝবেন এমন কোনও উদ্দেশ্য আমাদের নেই। কিন্তু দেখতেই যদি না পান? সেই উদ্বেগটা একসময় ছিল। আমি চাই না অন্য কোনও ছবি এই অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাক।

কিন্তু একটা কথা বলুন, আজ ‘উড়তা পঞ্জাব’ বড় ব্যানারের ছবি। স্টারকাস্ট আকর্ষণীয়। এত প্রচার, এত সমর্থন। একই জিনিস কোনও ছোট ছবি, আঞ্চলিক ছবির ক্ষেত্রে হলে তারা এই লড়াই লড়তে পারত? এত প্রচার, এত সমর্থন পেত?

ঠিক বলেছেন। হয়তো পেত, হয়তো বা পেত না। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার যে, ছবি কারা বানাচ্ছে, কত টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে এ সব দিয়ে বিচার করা হয়। আসলে এগুলো কোনও মাপকাঠি নয়। ছবিটা কী নিয়ে, দর্শক দেখে কী বলছেন, সেটা আসল। আমি মনে করি, ছোট-বড় সব ছবি যাতে দর্শকের কাছে পৌঁছতে পারে, সেটা সকলের দেখা উচিত। ছবি মুক্তির আগে সেন্সর বোর্ড যেন আটকে না দেয়। ছবি ভাল না খারাপ দর্শক বিচার করবেন।

‘উড়তা পঞ্জাব’য়ে শাহিদ কপুর

পঞ্জাবের বাসিন্দা অনেকে ক্রু-টিমে ছিলেন। কেউ কিছু বলেননি। বলবেনই বা কেন? আমরা তো সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ছবিটা বানিয়েছি, সেটা সবাই জানতেন


আপনার ছবিতে পঞ্জাবের দু’জন অভিনেতার বলিউডে ডেবিউ হল। একজন তো পঞ্জাবের তারকা দিলজিৎ দোসাঞ্জ, আরেকজন বর্ণেশ শর্মা। তাঁরা কী বলছেন?

(হাসতে হাসতে) শুধু এঁরা দু’জন কেন? ছবিতে বহু স্থানীয় অভিনেতা অভিনয় করেছেন। পঞ্জাবের বাসিন্দা অনেকে ক্রু-টিমে ছিলেন। কেউ কিছু বলেননি। বলবেনই বা কেন? আমরা তো সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ছবিটা বানিয়েছি, সেটা সবাই জানতেন।

আপনি জামশেদপুরের ছেলে। বলিউডে তো এখন জামশেদপুর দাপাচ্ছে! আপনি, ইমতিয়াজ আলি, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া...

হ্যাঁ, জামশেদপুর আমার খু-উ-ব প্রিয়। সবচেয়ে সুন্দর শহরগুলোর মধ্যে একটা। আমার কত বন্ধু জামশেদপুরে গিয়ে অবাক হয়ে গিয়েছে ছবির মতো সুন্দর শহর দেখে! বৃষ্টির দিনে সুবর্ণরেখার পাড়ে বসে থাকা, সবুজ হয়ে থাকা পাহাড়গুলো দেখা... আহা!

হোয়াটসঅ্যাপ ডিপিতে ‘বিপ’ লেখা কেন? সেন্সর বোর্ডকে উদ্দেশ্য করে?

(হাসি) আরে ওটা একটা সুইট অ্যাক্সিডেন্ট। মিক্সিং স্টুডিয়োর কাছে একটা বাজারে লেখাটা দেখে ছবি তুলে ডিপি করেছিলাম।

ওটা এ বার বদলাবেন?

(হাসতে হাসতে) হ্যাঁ, ওটা এ বার বদলাব। আর ‘বিপ’ না। অনেক হয়েছে...।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন