কিসের আক্ষেপ সঙ্ঘশ্রীর? ছবি: সংগৃহীত।
‘বব কাট’ চুল। চোখে হলুদ ফ্রেমের চশমা। অভিনেত্রী সঙ্ঘশ্রী সিংহ মিত্রকে চিনতে পারছেন! হাতে মোটা শাঁখা-পলা, সিঁথিতে মোটা সিঁদুর আর পরনে শাড়ি— ঠিক এ ভাবে বেশির ভাগ সময় পর্দায় দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। কিন্তু ‘মিত্তির বাড়ি’ ধারাবাহিকে একেবারে অন্য ভাবে ধরা দিলেন অভিনেত্রী। নিজেও উত্তেজিত। ধারাবাহিকে তিনি একজন আইনজীবী। তন্বী বসু। ধারাবাহিকে আসছে নতুন মোড়। জোনাকির মৃত্যুর পরে ধ্রুব মিত্তির নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে সব কিছু থেকে। আপাতত নিজের ল ফার্মেই মন দিয়েছে সে। সেখানেই ধ্রুবর সহকর্মীর চরিত্রে দেখা যাচ্ছে সঙ্ঘশ্রীকে।
মাঝে অনেক দিন ছোট পর্দায় কাজ করেননি। একেবারে নতুন লুকে এসে চমকে দিয়েছেন সবাইকে। সঙ্ঘশ্রী বললেন, “সিঁদুর, শাঁখা, পলা অনেক পরেছি। নিজেকে একটু অন্য ভাবে দেখতে চাই এ বার। তবে এই ধারাবাহিকে আমার নতুন লুকের সব কৃতিত্ব ঋতুরূপা ভট্টাচার্যের। ওরই মস্তিষ্কপ্রসূত। কাকিমা, মাসিমা, বউয়ের চরিত্র থেকে বেরোতে পারছি, এটাই ভাল লাগছে।” গত দেড় বছর ধরে তেমন কোনও চরিত্র পাননি তিনি, আক্ষেপ অভিনেত্রীর। সঙ্ঘশ্রী বললেন, “মাঝে অনেক দিন কাজ করিনি ছোট পর্দায়। গত দেড় বছরে সে ভাবে ভাল চরিত্র পাইনি। নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছা। অনেক দিন ভাল মানুষের চরিত্রে অভিনয় করেছি।”
ঝুলিতে যে খুব বেশি কাজ রয়েছে তেমন নয়। সঙ্ঘশ্রীর অভিযোগ, “এখন তো দাদা-দিদি না থাকলে কাজ পাওয়া যায় না। স্বজনপোষণে ভরে গিয়েছে ইন্ডাস্ট্রি। মুম্বইয়ের চারটে অডিশনের সুযোগ পেলে কলকাতায় একটাও পাওয়া যায় না। আমার স্পষ্ট কথায় কোনও কষ্ট নেই।”