Swarnendu Samaddar

মানুষের মন্তব্যকে গুরুত্ব দিই না, একসঙ্গে কাটানোর ভরসা দিয়েছিল শ্রুতিই: স্বর্ণেন্দু

প্রায় দেড় মাস হতে চলল তাঁরা এখন বিবাহিত। শ্রুতি দাস এবং স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের সম্পর্ককে ঘিরে শুরু হয়েছিল বিপুল চর্চা। তবে কখনও এই প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে কিছুই বলেননি পরিচালক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৩ ১৩:১২
Share:

স্বর্ণেন্দু-শ্রুতি। ছবি: সংগৃহীত।

নায়ক-নায়িকাদের নিয়ে দর্শকের মনে কৌতূহলের শেষ নেই। ইন্ডাস্ট্রিতে খুব কম পরিচালক আছে যাঁকে নিয়ে চর্চা হয়। বিশেষত ছোট পর্দার পরিচালকদের নিয়ে আলোচনা হয় না বললেই চলে। সিরিয়ালের টিআরপি যতই ভাল হোক, নায়ক-নায়িকা যতই জনপ্রিয় হন, পরিচালকেরা থেকে যান নেপথ্যেই। তবে গত দু’বছরে এক জন পরিচালকের নাম মাঝেমাঝেই উঠে আসে চর্চায়। তিনি স্বপ্ন দেখেন বড় পর্দায় ছবি তৈরির। কিছু দিন হল একটি প্রযোজনা সংস্থা তৈরি করেছেন পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। এই মুহূর্তে তাঁর প্রযোজিত দু’টি সিরিয়াল দেখছেন দর্শক। এক দিকে চলছে ‘গৌরী এল’ আর চলছে ‘রাঙা বউ’। এই সিরিয়ালের মাধ্যমে আবারও পর্দায় ফিরেছে শ্রুতি দাস এবং গৌরব রায়চৌধুরীর জুটি। তবে সম্প্রতি ব্যক্তিগত জীবনের জন্যই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিচালক। জুলাই মাসে ‘রাঙা বউ’-এর নায়িকা শ্রুতিকে আইনি মতে বিয়ে করেছেন পরিচালক। শ্রুতি তাঁর চেয়ে বয়সে বেশ ছোট। অসম বয়সে বিয়ে করায় নানা সমালোচনা শুরু হয় চারদিকে। তবে কোনও কিছুতেই কান দিতে রাজি নন স্বর্ণেন্দু।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “আমি কখনও বাইরের কোনও কথায় গুরুত্ব দিই না।” এই মুহূর্তে শ্রুতিকে পরিচালনাও করছেন তিনি। ফলে অনেকেরই ধারণা, কিছু বাড়তি সুবিধা হয়তো শ্রুতি পেয়ে থাকেন পরিচালকের স্ত্রী হিসাবে। এত বিতর্কের মাঝে তাঁদের সম্পর্কের ভিত মজবুত হল কী ভাবে? স্বর্ণেন্দুর স্পষ্ট উত্তর, “আমি জীবনে সব কিছুই যত্ন নিয়ে করি। আর শ্রুতি খুবই পরিণত এক জন মানুষ। ১৯ বছরে আমি বহু অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু কখনও কাজের বাইরে বন্ধুত্বের ভাবনা মাথাতেই আসেনি। শ্রুতির সঙ্গে কাজ শুরু করতে গিয়ে দিনে দিনে বন্ধুত্বটা অনেকটা গভীর হয়ে গিয়েছিল। তার থেকেও বড় কথা, মনে হয়েছিল এই মেয়েটা সারা জীবন আমার সঙ্গে কাটাতে চায়। সেটা উপলব্ধি করেছিলাম। এই ভরসাটা পাওয়া খুব জরুরি। যেটা আগে কখনও কাউকে দেখে আমার মনে হয়নি।”

শ্রুতির ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ভর্তি স্বর্ণেন্দুর ছবি আর ভিডিয়োয়। মনের মানুষের থেকে এমন ভালবাসার ভরসাই চেয়েছিলেন পরিচালক। স্বর্ণেন্দু বলেন, “আমি তো ওর সঙ্গে সারা জীবন কাটাতে রাজি। কিন্তু আমি যাকে সব কিছু দিয়ে ভালবাসছি, উল্টো দিকের মানুষটাও যে একই কথা ভাবছে, সেই আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে শ্রুতিই।” পরিচালক এবং নায়িকার মধ্যে বয়সের ফারাক প্রায় ১৪ বছরের। তাঁদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসার পর অনেকেই এমনও বলেছেন যে, এই সম্পর্ক বেশি দিন টিকবে না। যদিও কখনও এ সব আলোচনা শুনে চুপচাপ বসে থাকেননি শ্রুতি। তিনি নিজের বক্তব্য সব সময় স্পষ্ট করে দেন। বেশ অনেক বার ফেসবুকে পোস্টও করেছেন। তবে স্বর্ণেন্দু সব সময়ই সব বিতর্ক থেকে দূরে ছিলেন।

Advertisement

এ প্রসঙ্গে পরিচালকের মত, “আমার অগোছালো জীবনকে শ্রুতি বাঁধতে পারবে বুঝেছিলাম। আর লোকজনের সব সময় চর্চা করার একটা বিষয় থাকে। এখন আমরা তাঁদের বিষয়বস্তু। তাঁরা এটা করে যদি ভাল থাকেন তা হলে আলোচনা, সমালোচনা করুন। আমি সোশ্যাল মিডিয়ার কোনও মন্তব্য পাত্তা দিই না। আমরা নিজেরা কেমন আছি , নিজেদের জীবনকে কী ভাবে গোছাচ্ছি, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের বয়সের ফারাক চিন্তা করে যদি কেউ ভাল থাকেন, তাঁদের জন্য শুভেচ্ছা।” আপাতত স্বর্ণেন্দুর লক্ষ্য বড় পর্দায় ছবি তৈরি করা। সিরিয়াল এবং প্রযোজনার পাশাপাশি বড় পর্দায় কাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন পরিচালক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন