‘আলাপ’-এর একটি দৃশ্যে ইডা।
মেয়েটির বয়স পাঁচ কি ছয়। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার। রোজ রাতে মদ খেয়ে এসে গান গাওয়া তার বাবার রুটিন। আর মা বাধ্য হয়ে লোকের বাড়ি বাড়ি কাজ করেন। এর মাঝেই বড় হতে থাকে সে। গান তার কাছে ভয়ের অনুভূতি। কারণ?
এক দিকে রাতবিরেতে মদ্যপ অবস্থায় বাবার গাওয়া গান, অন্য দিকে বস্তির মধ্যে উদ্দাম লাউডস্পিকার— এই দু’য়ের জাঁতাকলে মিউজিক ফোবিয়ায় ভুগতে থাকা মেয়েটি আরও কুঁকড়ে যায়। ঠিক এভাবেই শর্টফিল্ম ‘আলাপ’-এর চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন পরিচালক সুদেষ্ণা গোস্বামী। এ ছবির মধ্যমণি ইডা। পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত ও অভিনেত্রী বিদীপ্তা চক্রবর্তীর মেয়ে। এটাই তার ডেবিউ ফিল্ম।
আরও পড়ুন, ‘ঋদ্ধিকে আমি হিংসে করি’
ছবিতে ইডার মায়ের চরিত্রে রয়েছেন বিদীপ্তা স্বয়ং। তাঁর কথায়, ‘‘ইডা এর আগে একটা বিজ্ঞাপনে কাজ করেছে। আলাপে আমার সঙ্গে মাত্র দুটো সিন রয়েছে ওর। বাকি সময় শুটিংয়ে আমি যাচ্ছিও না। সব দায়িত্ব সুদেষ্ণার। আর ও তো শুটিং ব্রেকে ওর পছন্দের কাজ, মানে ছবি আঁকা, গান শোনা সবই করতে পারছে। ফলে কোনও সমস্যাই নেই। তাছাড়া ছোট থেকেই তো দেখছে বাবা, মা, দিদি সবাই শুটিং করছে। ফলে এ ব্যাপারটা ওর কাছে নতুন নয়।’’
কিন্তু ইডাকে কাস্ট করলেন কেন? সুদেষ্ণা শেয়ার করলেন, ‘‘ইডার মুখে আনন্দ আর দুঃখের একটা অদ্ভুত মিশ্রণ রয়েছে। সেটা এই চরিত্রের জন্য আমার দরকার ছিল।’’ ইডার বাবার চরিত্রে অভিনয় করছেন মীর।
‘আলাপ’-এর মেয়েটির মিউজিক ফোবিয়া থেকে বেরিয়ে আসার উপায় আছে কী? পরিচালক বললেন, ‘‘মিউজিক ফোবিয়াটা ওভারকাম করার গল্পই এটা। শেষ পর্যন্ত গান দিয়েই ভয় কাটবে।’’ আর এখানেই রয়েছে একটা চমক। এই ছবিতে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী কৌশিকী চক্রবর্তী অভিনয় করবেন তাঁর বাস্তব পরিচয়েই। আপাতত গ্রিসে রয়েছেন তিনি। দেশে ফিরলেই তাঁকে নিয়ে ছবির শেষ অংশ শুট করা হবে।
ছবির একটি দৃশ্যে বিদীপ্তা ও মীর।
প্রথমে বিভিন্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যাবে ‘আলাপ’। তারপর শর্ট ফিল্মটির অনলাইন রিলিজের পরিকল্পনা রয়েছে সুদেষ্ণার।
ছবি সৌজন্যে: সুদেষ্ণা গোস্বামী।