অচেনা লুকে চেনা ব্যোমকেশ

কোন সত্যান্বেষীকে তুলে ধরতে চায়  ‘বিদায় ব্যোমকেশ’? খোঁজ নিল আনন্দ প্লাস কোন সত্যান্বেষীকে তুলে ধরতে চায়  ‘বিদায় ব্যোমকেশ’? খোঁজ নিল আনন্দ প্লাস

Advertisement
শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৮ ০০:০৪
Share:

ছবিতে আবিরের লুক

ব্যোমকেশ এ বার বৃদ্ধ! দেবালয় ভট্টাচার্যের ‘বিদায় ব্যোমকেশ’ ছবিতে সত্যান্বেষী ধরা দেবে অন্য রূপে। দেবালয়ের লেখা এই গল্পে দ্বৈত চরিত্রে আবির চট্টোপাধ্যায়। আশি বছরের ব্যোমকেশ ও তার নাতি সাত্যকির চরিত্রে অভিনয় করছেন আবির। সাত্যকির প্রেমিকার চরিত্রে সোহিনী সরকার, সাত্যকির বাবার চরিত্রে জয় সেনগুপ্ত ও মায়ের চরিত্রে বিদীপ্তা চক্রবর্তী। এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে অরিন্দম শীল ও গায়ক রূপঙ্করকে। গল্পের নিরিখে অজিত ও সত্যবতী মৃত হলেও ছবিতে তারা ফিরে ফিরে আসবে। কেন ও কী ভাবে? সেই সাসপেন্স থেকে এখনই পরদা সরাতে রাজি নন পরিচালক।

Advertisement

ব্যোমকেশের সঙ্গে সাসপেন্স, রোমাঞ্চ সমার্থক হলেও দেবালয়ের নজর কিন্তু ব্যক্তি ব্যোমকেশের উপর। অঞ্জন দত্ত ও অরিন্দম শীলের হাত ধরে ব্যোমকেশ হালফিল সিনে পরদায় বারবার ফিরেছে। তার চেয়ে কতটা আলাদা এই ব্যোমকেশ? ‘‘আমার ইচ্ছে, এই পরম্পরাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। ঘরোয়া, বন্ধুবৎসল ও স্নেহশীল ব্যোমকেশকে আরও কাছের করে তোলা। আমরা সব সময়ে দেখেছি, ব্যোমকেশের স্ত্রী ও বন্ধু তার পাশে রয়েছে। ব্যক্তিজীবনের সুস্থিরতা তাকে বাইরের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করেছে। কিন্তু এ বার ঝড় তার ঘরেই। দু’বছর ধরে নিরুদ্দেশ ছেলেকে খুঁজে বের করতে অসফল বৃদ্ধ ব্যোমকেশ। ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি থেকেই এই গল্পের শুরু।’’

পরদায় ব্যোমকেশ হিসেবে আবির চট্টোপাধ্যায়কে আগেও দেখেছেন দর্শক। কিন্তু এ বার তিনি আশি বছরের বৃদ্ধের বেশে। ‘‘প্রস্থেটিক মেকআপ করেও ব্যোমকেশ যেন তার স্বকীয়তা হারিয়ে না ফেলে সেটাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। মুম্বই থেকে আসা মেকআপ শিল্পী ধনঞ্জয় প্রজাপতি ও তাঁর টিমকে তেমনই ব্রিফ করা হয়েছিল। তার পরে এই লুক সেট হয়। মেকআপ করতে চার-পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগত। তবে মেকআপ করার চেয়েও তোলা অনেক বেশি কঠিন,’’ বললেন অভিনেতা।

Advertisement

সোহিনীর লুক

‘রোগা হওয়ার সহজ উপায়’, ‘অভিশপ্ত নাইটি’র মতো কমেডি ছবির সঙ্গে দেবালয়ের নাম জড়িত বলে অনেকের মনেই কৌতূহল, এই স্পিনঅফ কি ব্যোমকেশের উপর একটা কমিক-টেক? পরিচালকের জবাব, ‘‘একদমই সেটা নয়। এটা ইমোশনাল জার্নি।’’ আবিরও বললেন, ‘‘এখন সত্যি-মিথ্যে বিচার করার মাপকাঠি, মূল্যবোধ অনেকটা বদলে গিয়েছে। তার পাশাপাশি নাতি সাত্যকির সঙ্গে দাদু ব্যোমকেশের সম্পর্কের সমীকরণ, সাত্যকির চোখ দিয়ে সত্যান্বেষীকে দেখা...এই বিষয়গুলিও ছবিতে ফুটে উঠবে।’’

সত্যিই ব্যোমকেশ বিদায় নেবে, না তার পুনরুত্থান হবে— সেই রহস্য কিন্তু জিইয়ে রাখলেন পরিচালক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন