Entertainment News

পহেলাজের ‘পাল্টি’

যে ছবির নামের সঙ্গেই লেখা হয়েছে, ‘বোল্ড, বিউটিফুল অ্যান্ড ব্লেসড’ সে ছবির পরিবেশক নিহালনি! এখানেই খটকাটা লাগছে সিনে দুনিয়ায়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৯:৪৯
Share:

‘জুলি ২’ ছবির একটি দৃশ্যে। ইনসেটে প্রাক্তন সেন্সর কর্তা পহেলাজ নিহালনি।

এ যেন উলটপূরাণ।

Advertisement

দিন কয়েক আগেও গদিতে বসে কলমের এক আঁচড়ে আটকে দিয়েছেন বহু ছবি। কাট, কাট অ্যান্ড কাট…। একের পর এক কাট কখনও বদলে দিয়েছে ছবির বিষয়। কখনও বা যে গল্প পরিচালক দেখাতে চান, আদৌ তা তুলে ধরতে পারেননি সিনে পর্দায়। সৌজন্যে তিনি। তিনি অর্থাত্ প্রাক্তন সেন্সর বোর্ড কর্তা পহেলাজ নিহালনি। তাঁর সংস্কারী ভূমিকা গত কয়েক বছরে যেন বিভীষিকা হয়ে উঠেছিল পরিচালক-প্রযোজকদের কাছে। সেই নিহালনিই এ বার অন্য ভূমিকায়। তিনি ‘জুলি ২’ ছবির পরিবেশক। যা দেখে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

আরও পড়ুন, হট ‘জুলি’র রূপে বলিউডে আসছেন ইনি

Advertisement

নিহালনির নতুন ভূমিকা নিয়ে কেন সমালোচনা হচ্ছে? ২০০৪এ নেহা ধুপিয়ার ‘জুলি’র কথা মনে আছে? নেহা সঞ্জয় কপূর প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায়ের ‘জুলি’ কিন্তু বোল্ড এবং সাহসী দৃশ্যের জন্যই শিরোনামে এসেছিল। সেই ছবিরই সিক্যুয়েল ‘জুলি টু’। এ ছবিও লাইমলাইটে এসেছে মূলত সাহসী দৃশ্যের জন্যই। ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে খবর এ ছবির গল্প পরিবেশনা নাকি আগের থেকেও বেশি বোল্ড। যে ছবির নামের সঙ্গেই লেখা হয়েছে ‘বোল্ড বিউটিফুল অ্যান্ড ব্লেসড’ সে ছবির পরিবেশক নিহালনি! এখানেই খটকাটা লাগছে সিনে দুনিয়ায়। ' '

নিহালনির নতুন ভূমিকা নিয়ে কেন সমালোচনা হচ্ছে? ২০০৪এ নেহা ধুপিয়ার ‘জুলি’র কথা মনে আছে? নেহা সঞ্জয় কপূর প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায়ের ‘জুলি’ কিন্তু বোল্ড এবং সাহসী দৃশ্যের জন্যই শিরোনামে এসেছিল। সেই ছবিরই সিক্যুয়েল ‘জুলি টু’। এ ছবিও লাইমলাইটে এসেছে মূলত সাহসী দৃশ্যের জন্যই। ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে খবর এ ছবির গল্প পরিবেশনা নাকি আগের থেকেও বেশি বোল্ড। যে ছবির নামের সঙ্গেই লেখা হয়েছে ‘বোল্ড বিউটিফুল অ্যান্ড ব্লেসড’ সে ছবির পরিবেশক নিহালনি! এখানেই খটকাটা লাগছে সিনে দুনিয়ায়।

নিহালনি দিন কয়েক আগেও শাহরুখ-অনুষ্কার ‘জব হ্যারি মেট সেজল’ থেকে ‘ইন্টারকোর্স’ শব্দটি বাদ দিতে চেয়েছিলেন। ‘লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরখা’র বিষয় নিয়ে তাঁর আপত্তি ছিল। ‘বাবুমশাই বন্দুবাজ’-এর যৌন দৃশ্যে ৪৮ টি কাটের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ হেন উদাহরণ অজস্র। সেই নিহালনি আর পদ থেকে সরে যাওয়া নিহালনি কি দিক থেকে একই মানুষ? অন্তত মানসিকতার আঙ্গিকে? কোথায় গেল তাঁর সংস্কারী মনোভাব? বস্তুত প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েই। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ বলছেন, সেন্সর বোর্ডের কর্তা থাকলেও কি তিনি ‘জুলি ২’-এর মতো ছবি পরিবেশনা করতেন? আবার কেউ বলছেন, ভাগ্যিস নিহালনি আর সেন্সর কর্তার চেয়ারে নেই। সে কারণেই ‘জুলি ২’-এর মতো ছবি দেখতে পাব আমরা।

আরও পড়ুন, ‘বাবার বয়সী একটা লোক আমাকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করেছিল’

আগেই ছবির টিজার প্রকাশ করেছে টিম ‘জুলি ২’। কিন্তু তখন নিহালনির নাম প্রকাশ্যে আসেনি। নির্মাতারা কি ইচ্ছে করেই প্রথমে এই তথ্য গোপন করেছিলেন? প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে এখন মুখ খোলেননি নিহালনি স্বয়ং। তবে তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, ‘জুলি ২’ এ সার্টিফিকেট পেতে পারে। তবে কোনও কাটের দরকার নেই। প্রশ্ন উঠছে, তাঁর পরিবেশিত ছবি বলেই কি এ হেন দ্বিচারিতা?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন