Movie

রঙিন ‘পথের পাঁচালী’ নিয়ে বিতর্কে সত্যজিৎপ্রেমীরা

ছবির উপর তাঁর পরীক্ষানিরীক্ষা চালানো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২০ ০০:১৭
Share:

রঙিন ‘পথের পাঁচালী’

রঙের ছোঁয়ায় নতুন করে ‘পথের পাঁচালী’র যে আড়াই মিনিটের ক্লিপটি গত কয়েক দিনে ভাইরাল হয়েছে নেট-দুনিয়ায়, তা নিয়ে কলকাতার সত্যজিৎপ্রেমীরা দ্বিধাবিভক্ত। ওয়াশিংটনের মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বসে যাঁর এক্সপেরিমেন্টটির ফসল এটি, সেই অনিকেত বেরা নিজেও সত্যজিৎভক্ত। তবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে এমন একটি আইকনিক ছবির উপর তাঁর পরীক্ষানিরীক্ষা চালানো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ‘‘এর আগেও বিদেশে বহু বার এ ধরনের এক্সপেরিমেন্ট হয়েছে। তার ফল যে সব সময়ে খুব ভাল হয়েছে, এমন নয়। তবে আমার মতে ক্লাসিকগুলোকে নিয়ে নাড়াচাড়া না করাই ভাল। এটাকেও তেমনই আর একটা এক্সপেরিমেন্টের চেয়ে বেশি কিছু ভাবতে আমি নারাজ,’’ স্পষ্ট বললেন সন্দীপ রায়। সিনেম্যাটোগ্রাফার সৌমিক হালদারের বক্তব্যও অনুরূপ, ‘‘সুব্রত মিত্র আমাদের কাছে ঈশ্বরের মতো। তাঁর কাজ নিয়ে আর এক্সপেরিমেন্ট না করাই ভাল।’’

Advertisement

ডায়মন্ড হারবারের ছেলে অনিকেতের বেড়ে ওঠা এবং পড়াশোনা দিল্লিতে। মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্যই লকডাউনে এই এক্সপেরিমেন্টটি করেছিলেন তিনি, যা পরে ইউটিউবের মাধ্যমে পৌঁছে যায় সারা পৃথিবীর কাছে। অনিকেত জানালেন, তিনি নিজেও রঙিন ‘পথের পাঁচালী’ দেখতে পছন্দ করেন না। তাঁর এক্সপেরিমেন্টের প্রতিক্রিয়ায় কমবয়সিদের থেকে সাড়া পেলেও বিরূপ মন্তব্যও মাথা পেতে নিচ্ছেন তিনি। ‘‘টেকনোলজিক্যাল দিক থেকেই এই এক্সপেরিমেন্টটা করা। শুধু কালারাইজ়েশন নয়, ছবির ডিজিটাল কোয়ালিটি আপগ্রেডেশনও হয়তো অনেককে আকৃষ্ট করবে। তবে আমার উদ্দেশ্য ছিল শুধুই ট্রিবিউট দেওয়া,’’ বললেন তরুণ অধ্যাপক।

আরও পড়ুন: ক্ষতিপূরণ নিয়েই প্রশ্ন

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement