মিমি এবং মনামি।
কলকাতার মেয়ে মনামি বিশ্বাস স্কটল্যান্ডে পড়তে গিয়েছিলেন।গত১৮ মার্চ কলকাতায় ফেরেন তিনি। ১৯মার্চ বেলেঘাটা আইডি-তে ভর্তি হন। ২০মার্চ তাঁর রিপোর্টে কোভিড-১৯পজিটিভ আসে। সে দিন থেকে লড়াই শুরু। ৩১মার্চ মনামি বেলেঘাটা আইডি থেকেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন। কোভিড যুদ্ধে জয়ী এই তরুণীর সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভে আসছেন অভিনেত্রী, সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। এই প্রথম টলিউডের কোনও সেলিব্রিটি সরাসরি কোভিড যোদ্ধার সাক্ষাৎকার নেবেন।
আনন্দবাজার ডিজিটালকে মিমি বললেন, ‘‘একটি অনলাইন মিডিয়ায় মনামির খবর পড়ি। চেষ্টা করি যোগাযোগ করার। ওর সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি, ও যদি মানুষের সামনে ওর লড়াইটা তুলে ধরে তা হলে কোভিড নিয়ে সত্যি আর মিথ্যেগুলো স্পষ্ট হয়ে যাবে। যাঁরা অযথা প্যানিক করছেন তাঁরা আর করবেন না বলে মনে হয়।’’ মানুষকে সচেতন করার জন্যই মিমির এই উদ্যোগ।মনামিও চাইছেন কোভিড নিয়ে মানসিক বল ছড়িয়ে দিতে। তিনিও সাংসদের ডাকে হাজির হবেন, লাইভে বলবেন তাঁর লড়াইয়ের কথা।
আরও পড়ুন- অক্ষয় তৃতীয়ার সঙ্গে মিশে আছে মায়ের হাতের রান্নার গন্ধ: অনসূয়া
দেখুন মিমির ইনস্টাগ্রাম পোস্ট
A post shared by Mimi (@mimichakraborty) on
করোনা সতর্কতা নিয়ে বরাবর তৎপর মিমি। কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় করোনা যুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য নানা রকম টিপস দিচ্ছেন। কখনও তাঁর অফিসের কর্মীরা খাবার নিয়ে প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। কখনও বা ‘চা কাকু’-র মতো মানুষের সারা জীবনের দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনি। লাঙলবেড়িয়া গোবিন্দপুরের কাছে আনন্দঘর ফাউন্ডেশনে কিছু বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু এবং এইচআইভি পজিটিভ শিশুদের মুখে নববর্ষের দিনে হাসি ফুটিয়েছিলেন মিমি। নববর্ষে মোট ১২০ জনশিশুর জন্য জামাকাপড় দেওয়া ও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। এ ভাবেই করোনা যুদ্ধে মানুষের পাশে থেকে জীবনের সদর্থক দিক তুলে ধরছেন মিমি।
আরও পড়ুন- এই পয়লা বৈশাখ যেন মৃত্যুপুরী থেকে জীবনপুরীতে নিয়ে যায়